একদিনে সর্বাধিক রোগী; বিশ্ব রেকর্ড গড়লো ভারতের সল্টলেকের হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান

নতুন রেকর্ড গড়ল ভারতে অবস্থিত হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠান। ভারতের হোমিওপ্যাথির ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী দেখার রেকর্ড গড়ল তারা। 

ভারতের সল্টলেকে অবস্থিত হোমিওপ্যাথির জাতীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি (এনআইএইচ) এবং তাদের বিভিন্ন শাখা ৭ মার্চ এই ইতিহাস তৈরি করল। একদিনে চার হাজারের বেশি (৪১৪৩) রোগী দেখলেন এখানকার চিকিৎসকরা। সকাল থেকে আউটডোর শুরু হয়ে চলল রাত সওয়া ৮টা পর্যন্ত।

সংস্থার দাবি, শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীতে একদিনে কোনও হোমিও প্রতিষ্ঠানে এত রোগী দেখার রেকর্ড আগে হয়নি। প্রতিষ্ঠানের কর্মী-চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওইদিন প্রতিষ্ঠান জুড়ে ছিল শুধু কালো মাথার ভিড়। রমজান মাসের আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়ার তাগিদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। 

জিডি মার্কেটের উল্টো দিকে এনআইএইচ-এর প্রধান ক্যাম্পাসেই ওইদিন রোগী হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার (৩৪৯৪)। এছাড়া এনআইএইচ-এর দিল্লির নারুলায় অবস্থিত সদ্য উদ্বোধন হওয়া ক্যাম্পাসে রোগী হয়েছিল ২৮১ জন। মালদহ, বালুরঘাট, কেশিয়াড়ি, খড়াপুর, বারাসত, বারাকপুর, সুটিয়া, টালিগঞ্জ, গোপীবল্লভপুর ও কল্যাণীতে রয়েছে এনআইএইচ- এর পেরিফেরাল ওপিডি বা ছোট আউটডোর। ওইদিন এইসব জায়গা মিলিয়ে রোগী হয়েছিল ৩৬৮ জন। এনআইএইচ অধিকর্তা ডাঃ সুভাষ সিংয়ের দাবি, 'এ শুধু বাংলা বা দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে একদিনে রোগীর সংখ্যার বিচারে সর্বকালীন রেকর্ড। এই কৃতিত্ব টিম এনআইএইচ-এর। এই সাফল্য সর্বস্তরের কর্মী ও চিকিৎসককে উৎসর্গ করলাম।' প্রসঙ্গত, দেশে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ আছে। তার মধ্যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজে একদিনে এত রোগী হয়নি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন 'দি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া'র (হোমাই) সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ শ্যামল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'নিঃসন্দেহে এটি একটি রেকর্ড। এনআইএইচ-এর প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই।' 

সূত্রের খবর, বর্তমানে রোজই এনআইএইচ-এ গড়পড়তা ১৫০০ থেকে ২৫০০ রোগী হয়। কোনও কোনও দিন হয় আরও বেশি। এর আগে সবচেয়ে বেশি-৩৪১৬ জন রোগী হয়েছিল ৬ মার্চ। ৭ তারিখে দুপুর আড়াইটের মধ্যে নথিভুক্ত হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোগীর নাম। ডাক্তার দেখানো হয়ে যায় বিকেল ৪টের মধ্যে। সন্ধ্যা সারে ৬টার মধ্যে ওষুধ তৈরি হয়ে যায়। ওষুধ দেওয়া শেষ যখন হয়, তখন বাজে রাত সারে ৮টা।

তথ্যসুত্র: বর্তমান, ১১ মার্চ ২০২৪

Next Post Previous Post