অধ্যাপক কামারুজ্জামান ভূঞা’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী
এ উপলক্ষে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন মসজিদ ও স্থানে নামাজের পর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে। এসব অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক নেতারা, মরহুমের সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-পরিজন অংশ নেবেন।
অধ্যাপক ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে তিনি কর্মরত ছিলেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তোখর মেধাবী কিংবদন্তি এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বেরসাথে হোমিওপ্যাথির সর্বোচ্চ ডিগ্রী বিএইচএমএস পাশ করেন।
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক সমাজের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর (রোববার) সকালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হন। দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন ।
টানা ৬দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২০২২ সালের আজকের এইদিনে (১৪ অক্টোবর শুক্রবার) রাত ১০টার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
কিংবদন্তি এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের মৃত্যুতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শোকবার্তা প্রেরণ কর। যারফলে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর (রবিবার) দেশের হোমিওপ্যাথিক কলেজে কালোব্যাজ, কালো পতাকা উত্তোলন, শোক সভা ও দোয়া মুনাজাতের আয়োজন করা হয়।
মরহুম অধ্যাপক ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা'র তিনটি জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজার নামাজ ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে (জামতলা), দ্বিতীয় জানাজা বেলা ১১টায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড প্রাঙ্গণে ও তৃতীয় জানাজা বাদ জোহর গাজীপুরস্থ উনার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে ডাক্তার ফাহিম শাহরিয়ার সোহান।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থনে বাবার কবরের পাশে কিংবদন্তি এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।