কম্পাউন্ডার ইস্যুতে ডা. শিপলুর লেখনীতে ৭ বছর পর বোর্ডের টনক নড়ল : অবশেষে চিঠি
সরকারী হােমিওপ্যাথির মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়ােগ বিধিমালা ২০১৬ গেজেট প্রজ্ঞাপনে কম্পাউন্ডার পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ১/২ বছরের ফার্মেসী কোর্স পাস বা জেনারেল শিক্ষার এইচএসসি না চেয়ে চক্রান্ত করে ডিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে অবমূল্যায়ন ও হেওপ্রতিপন্ন এবং অমর্যাদা করতে একটি মহল চক্রান্ত করে ডিএইচএমএস পাস লিখে রেখেছিল।
সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সরকারি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সংশোধন করতে ও দেশের জনসাধারণ এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে অবগত করতে বাংলাদেশের চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক. ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক ২৫ ও ৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে সামাজিক মাধ্যমে সরকারি ডকুমেন্টস সহ যথাযথভাবে যুক্তিসহকারে তীব্র প্রতিবাদসহ কলাম/লেখা প্রকাশিত হয় ও লেখাটি দেশের অনলাইন সহ একাধিক মিডিয়া গুলোতেও গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত এবং প্রচারিত হবার পর বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় ও তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাতে থাকলে বাধ্য হয়ে সরকারী হােমিওপ্যাথির মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়ােগ বিধিমালা ২০১৬ কম্পাউন্ডার পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হােমিওপ্যাথি বাের্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষে বোর্ডের রেজিস্ট্রার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কলাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকাকে অফিসিয়াল পত্র প্রেরণ করেন ও পত্রের অনুলিপি সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সহ অন্যান্যদের নিকট পত্র প্রেরণ করেছেন।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার-কাম-সেক্রেটারী ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
বরাবর
সচিব
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
দু: আ: যুগ্মসচিব (পার), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বিষয়: সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা ২০১৬ প্রসঙ্গে।
উপযুক্ত বিষয়ের আলোকে মহোদয়ের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ১২/০৫/২০১৬ খ্রি: তারিখে সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগবিধিমালা- ২০১৬ প্রণয়ন পূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত নিয়োগবিধিটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নজরে আসে উক্ত নিয়োগবিধিটির ৭৪৩৪ সংখ্যক পৃষ্ঠার ৫৩ নং ক্রমিকে কম্পাউন্ডার পদে নিয়োগের যোগ্যতা হিসেবে “যেকোন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান হইতে ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সে উত্তীর্ণ হইতে হইবে” উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
ডিপ্লোমা-ইন-হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্সটি সরকার ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত ৪(চার) বছর ৬ (ছয়) মাস মেয়াদী একটি পরিপূর্ণ চিকিৎসা শিক্ষা কোর্স। উক্ত কোর্সে অধ্যয়ণ শেষে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হন এবং জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪২,০০০ এর অধিক নিবন্ধিত ডিএইচএমএস চিকিৎসক রয়েছেন এবং প্রায় ২৫,০০০ ছাত্র-ছাত্রী ৬৬টি বেসরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিএইচএমএস কোর্সের বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়ণরত আছে।
ডিএইচএমএস সনদধারী নিবন্ধিত চিকিৎসকগণকে কিংবা ডিএইচএমএস কোর্সে উত্তীর্ণদেরকে কম্পাউন্ডার পদের যোগ্যতা হিসেবে উক্ত নিয়োগবিধিমালা-২০১৬-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অত্যান্ত অপমানজনক ও বিতর্কিত। উক্ত প্রজ্ঞাপনটি নজরে আসার পর ডিএইচএমএস চিকিৎসকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এমতাবস্থায়, সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগবিধিমালা-২০১৬ সংশোধন পূর্বক কম্পাউন্ডার পদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা হিসেবে ডিএইচএমএস এর পরিবর্তে বাস্তব ভিত্তিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ন্যূনতম এইচএসসি/সমমান পাশ অথবা অন্য কোন প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নির্ধারণ করার বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল। ইহাতে বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের সম্মতি রয়েছে।
সংযুক্তি : বর্ণনামতে।
কপি বিতরণ কার্যার্থে ও জ্ঞাতার্থে (জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নয়) :
১| সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
৩। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
81 চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। সদস্য, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (সকল)।
৬। অধ্যক্ষ, সরকারী হোমিওপ্যথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
৭। সভাপতি/সম্পাদক, বেসরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট।
৮। অধ্যক্ষ / ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (সকল)। ৯। অফিস নথি, অত্র বোর্ড।
অনুলিপি :
সরকারী হােমিওপ্যাথির মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়ােগ বিধিমালা ২০১৬ কম্পাউন্ডার পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অফিসিয়াল পত্র (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩)।