স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এআই ব্যবহার নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ডব্লিউএইচওর
এআই নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (১৬ মে) ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, যে ডেটা বা তথ্যাবলির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় এআই, তার মধ্যে ভুলভ্রান্তি কিংবা পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে। তাই সেই সব ‘ডেটা ইনপুট’ নিয়ে সাবধান না হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের ফল হবে মারাত্মক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এআই ব্যবহারে ঝুঁকি আছে কি না তা আগেই বুঝে নিতে হবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। যদি দেখা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাতে কাজে লাগানো চ্যাট-জিপিটি, বার্ড, বার্ট-এর মতো নানা ধরনের ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) টুল’-এর মাধ্যম আসলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানবকল্যাণের পরিপন্থি, তবে তা কখনোই সমর্থনযোগ্য হবে নয়। এই আধুনিক প্রযুক্তিকে হতে হবে সামাজিক কল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, দায়িত্বশীল, মানবিক, সুস্থিত উন্নয়নের উপযোগী ও জনস্বাস্থ্যের অভিসারী।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কীভাবে চিকিৎসায় এআই ব্যবহার করা হচ্ছে তা বিচার-বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। তাদের বক্তব্য, যেকোনো নতুন প্রযুক্তি যেভাবে সাবধানে ব্যবহার করতে হয় তার ভালো-মন্দ বিচার করে, এআই-এর ক্ষেত্রেও তেমন সতর্কতা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, যেসব ডেটার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় এআই, সেই সব ডেটা যেন নিরপেক্ষ, পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ হয়, তার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতায় যেন কোনো কমতি না থাকে। অন্যথায় হবে হিতে বিপরীত, যাতে রোগীর ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাবে।