ডিএইচএমএস সমমান নির্ধারণ!
বাংলাদেশে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা যেগুলো বর্তমানে ৪ বছর সেগুলো ১ম ও ২য় বর্ষ উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) সমমান, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষকে উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি সমমান এর উর্ধে। "সাধারণ শিক্ষায় ডিপ্লোমা কোর্সটি এইচএসসি কোর্সের চেয়ে ২ (দুই) বছরের উচ্চতর মানের"। বিষয়টি উল্লেখ করে লেখার কারণ হলো ৪ বছর মেয়াদি কোর্সকৃতরা ২য় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা/১০ গ্রেডের কর্মকর্তা হতে পারে, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সাধারণ এইচএসসি পাসকৃতদের চেয়ে প্রায় মোট অর্ধেক সময়/বছর ও কোর্সের কারিকুলাম উচ্চ শিক্ষায় নির্ধারিত গ্রেডেড কোর্স/ব্রীজ কোর্স/শর্ট কোর্স/পোস্ট ব্যাসিক কোর্সে কম সময় লাগে। (১০ গ্রেড/২য় শ্রেণীর চাকুরি পরিপত্র, কৃষি ডিপ্লোমা কোর্সের সমমান ডকুমেন্টস সংযুক্ত)।
যে গুলো ডিপ্লোমা কোর্স ২ বা ৩ বছর মেয়াদি সেগুলো শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাস/এইচএসসি সমমান।
বর্তমানে ডিএইচএমএস কোর্সটি বিষয় ও নম্বর বন্টন এবং একাধিক সাবজেক্ট পার্ট, তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক এর পূর্ণমান বাড়িয়ে কোর্সের মেয়াদ ৫ বছর করা (একাডেমিক ও ইন্টার্ণীশিপ কোর্সের আবশ্যিক অংশ হিসাবে একত্রে বুঝানো)। এভাবে ব্যবহার করলে এখানে কোর্সে আলাদাভাবে ইন্টার্ণীশিপ উল্লেখ করার দরকার নেই। আর আলাদা ভাবে ডিএইচএমএস কোর্সের মেয়াদ উল্লেখ করলে একাডেমিক ৫ বছর ও ইন্টার্ণীশিপ ১ বছর উল্লেখ করে লেখা যায়। ডিএইচএমএস কোর্সের কারিকুলাম/পার্ট, কোর্সের মেয়াদ, সমমান নির্ধারণ, কোর্সকৃতদের উচ্চশিক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ হতে বিভিন্ন সময় লিখিতভাবে আবেদন ও দেশ-বিদেশের ডকুমেন্টস সহ বিস্তারিতভাবে বার বার অবগত করলেও কখনও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি।
বর্তমানে ম্যাটসের ৩ বছরের একাডেমিক কোর্স ৪ বছরে উন্নীতকরণ কোর্স লিখছে ও ডিএমএফ সহ বেশ কিছু ডিপ্লোমা কোর্স কৌশল ব্যবহার করে কোর্সকে একাডেমিক কোর্স মেয়াদ ৪ বছর উল্লেখ করে ইন্টার্ণীশিপ কে আলাদাভাবে উল্লেখ করছেনা।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) ২০১৩ সাল হতে কখনও মন্ত্রণালয় আবার কখনও বোর্ডে পড়ে থাকে অদৃশ্য কারণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস হয়না এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (প্রস্তাবিত) গঠন ও কার্যকর হচ্ছেনা। পাশাপাশি স্বাধীনতার পাঁচ দশকেও ডিএইচএমএস কৃতরা শোষিত ও বঞ্চিত, নেই উচ্চশিক্ষা ও সরকারি কর্মসংস্থান, নেই সামাজিক মর্যাদা, ন্যুনতম মৌলিক ও সংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বার বার বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ডিএইচএমএস কোর্স ও কলেজ এবং বোর্ড তথা বোর্ডের পদ-পদবী ও সুযোগসুবিধা ব্যবহার করে একশ্রেণীর সুবিধাবাদীরা অনেক অর্থ বৃত্তের মালিক হয়েছে। সুবিধাবাদীদের অনেকে পরিবহণ, স্বর্ণ ব্যবসা, ইট ব্যবসা, ঠিকাদারী ব্যবসা, বেকারি ব্যবসা, সার্টিফিকেট ব্যবসা, প্রশিক্ষণ ব্যবসা, নিয়োগ বাণিজ্য, কলেজ অনুমোদন ও স্বীকৃতি ব্যবসা, ঔষধের এক্সপোর্ট ইমপোর্টার্স ব্যবসা শেয়ারধারী হয়েছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথির কোন উন্নয়ন করেনি, বরং বার বার হোমিওপ্যাথি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। ইতিহাস সত্য শুরু হলে তার শেষও আছে, সেটার শেষ কোথায়? ইতিহাসের অমর লিখণীর দিকে দৃষ্টি দিলে বলা চলে হোমিওপ্যাথিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ব্যক্তিদের ভবিষ্যত তথা শেষকাল বাংলার মীরজাফরের মত ভয়ঙ্কর, শোচনীয়, ঘৃণার, করুনার হতে পারে। বঙ্গবাজার দিকে দৃষ্টি দিলে কোটি প্রতি পরের দিন সকালে রাস্তার ফকির, এক সময়ের দাপটে ব্যক্তি নিভৃত জেলে, কোটি প্রতি হঠাৎ অসুস্থ সমস্ত সম্পদ দিয়েও পৃথিবীর কোন চিকিৎসক বাঁচাতে পারেনি, সকলে হাত মেলে খালি হাত নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে সমস্ত সম্পদ ফেলে হাত মেলে খালি হাত নিয়ে পৃথিবী হতে সকলকে বিদায় নিতে হবে। এখনও সময় আছে জীবনের শেষ সময় গুলো দেশ ও হোমিওপ্যাথির জন্য ভাল কিছু করে জনগণ এবং ইতিহাসে অমরত্ব হয়ে থাকা।
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস
(রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ)
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।