সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিশেষত্ব

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার মাঝ সমুদ্রপথে সাদা ফেনার জলরাশির উপর দিয়ে সাদা গাঙচিলের উড়ে যাওয়ার দৃশ্য এক অফুরন্ত আনন্দের হাতছানি দেবে। পাখিদের খেলা আর সাগরের বিশালতা সগর্বে ঘোষণা করবে ছোট জীবনে অপার স্বাধীনতার কথা। এক দৃষ্টে নাফ নদীর মোহনায় এক টুকরো বসতি মনে হলেও আসলে দ্বীপটি পাশাপাশি সাতটি এলাকায় বিভক্ত। এরপরেও প্রতিটি অংশ যেন এক সুতায় গাঁথা মালার মতো।

পড়ন্ত বিকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে পশ্চিম উপকূলে সূর্যাস্তের সাক্ষী হওয়ার মত অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা হয় না। সেন্টমার্টিন তার অর্ধেকটা সৌন্দর্য্যই যেন ঢেলে দিয়েছে পশ্চিম উপকূলের এই সৈকতে। রোদেলা সকাল কাটানোর জন্য পূর্ব সৈকতটা সেরা। এদিকের সৈকত থেকে মায়ানমারের পাহাড়ের উপর সূর্যের প্রথম রশ্মির দৃশ্যটা যে কোনো পর্যটককে জাদুর জালে জড়িয়ে ফেলতে যথেষ্ট।

দ্বীপের একদম দক্ষিণে প্রবালের মায়ায় বেড়ে উঠেছে দেশের দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু ছেঁড়া দ্বীপ। এরকম নামের কারণ হচ্ছে- বর্ষাকালে মূল দ্বীপ থেকে এ জায়গাটি একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ তো গেলো সমুদ্র আর সূর্যস্নান! কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সেন্টমার্টিন তার রূপে দর্শনার্থীদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য আরও ব্যবস্থা রেখেছে স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং ও বারবিকিউয়ের। সেন্টমার্টিন ঘুরতে যেয়ে নিদেনপক্ষে একটা দিন যদি সেখানে থাকা না হয়, তাহলে বাড়ি ফিরে আসতে হবে বিস্তর অনুশোচনা নিয়ে।

Next Post Previous Post