বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাচ্ছে না : জাতিসংঘের বিশেষ দূত
![]() |
জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজের সংবাদ সম্মেলন/ছবি: সংগৃহীত |
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রতি সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে আমি উদ্বিগ্ন যে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবে রূপদানের জন্য বিভিন্ন সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, সূচক ও মানদণ্ডের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এলিস ক্রুজ ৮ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। সফরের শেষ দিনে তিনি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা সম্ভাব্য বেশি সংখ্যক কুষ্ঠরোগী, বিলম্বিত রোগ নির্ণয়, চলমান সংক্রমণ ও শিশুদের বিকলাঙ্গতা এবং রোগ সম্পর্কিত ব্যাপক বৈষম্য ও সামাজিক কুসংস্কারের বিষয়গুলোতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এলিস ক্রুজ।
জাতিসংঘের বিশেষ এ দূত বলেন, ‘কুষ্ঠরোগীদের প্রতি উন্নয়নের অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক নীতিসমূহ, যেমন- সমতা, আত্মসংকল্প, অংশগ্রহণ ও ন্যায়বিচারের শর্ত পূরণ হচ্ছে না। এ রোগে আক্রান্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারছেন না। তাদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো উদাহরণও চোখে পড়ছে না।’
এলিস ক্রুজ বলেন, কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডব্লিউএইচও-এর তথ্যানুযায়ী- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কুষ্ঠ রোগীর তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জরিপে চলমান সংক্রমণ, বিলম্বিত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সমস্যা থাকার বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের জুনে মানবাধিকার কাউন্সিলে জাতিসংঘের বিশেষ এ দূত তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।