চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের স্বীকৃতি ও হোমিওপ্যাথি নিয়ে দোলাচল
আসছে তাবৎ বিশ্বজুড়ে। নিউরোসায়েন্টিস্টগনণ মানব দেহের অগ্র মস্তিষ্কের নিউরন সেল ও নিউরোট্রান্সমিটার নিয়ে নিরলস ভাবে গবেষণা করে যাচ্ছেন যার ফলশ্রুতিতে হয়তো এক সময় " মন " কে আবিষ্কার করা সম্ভব হতে পারে । অনাবিষ্কৃত বলে মনের ক্রিয়াকলাপ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে কি? বরঞ্চ মনকে অস্বীকার করা মানুষটি ও মন দ্বারা ই পরিচালিত হচ্ছে ।
" চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান " আচরণবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত প্রয়োগিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। অপরদিকে হোমিওপ্যাথি ও প্রায়োগিক লক্ষণ সদৃশ চিকিৎসা বিজ্ঞান। সুস্থ মানব দেহে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করলে রোগ লক্ষণ বিকাশ লাভ করে। প্রাকৃতিকভাবে অসুস্থ হলে রোগীর শরীরে যে সমস্ত লক্ষণ গুলি প্রস্ফুটিত হয় ওই লক্ষণ গুলির সাথে হোমিওপ্যাথি ঔষধের লক্ষণের সমন্বয় রেখে সুক্ষ্মমাত্রায় সেবন করলে আরোগ্য ক্রিয়া সাধিত হয় । এই ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের অপরাধ হলো তারা সুক্ষ মাত্রায় কেন ওষুধ প্রয়োগ করে? বিভাজিত ওষুধজ পদার্থ এত সূক্ষ্ম করা হয় যে যা মাইক্রোস্কোপে আবিষ্কার করা সম্ভব হয় না। তাইতো বিজ্ঞানীদের মাঝে হইচই হোমিওপ্যাথি আদতে ওষুধ কিনা?
অন্যদিকে মনকে আবিষ্কার করতে না পারলে ও "চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে " মেনে নিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কুন্ঠাবোধ করেনা। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রায়োগিক পরীক্ষিত নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও একে মেনে নিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের আপত্তি দ্বিচারণ নীতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
ধন্যবাদান্তে
ডা এম মোহসীন চৌধুরী
হোমিওপ্যাথি মেডিসিন কনসালটেন্ট
সোনাগাজী, ফেনী।