হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা সহজে মনে রাখার উপায়

আমাদের হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকার কিছু গ্ৰুপের ঔষধ সমুহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।  

এগুলো জানা থাকলে মেটেরিয়া মেডিকা পড়ে বুঝতে সুবিধে হয়। যেমন :- কেলি বা পটাশিয়াম গ্ৰুপের বৈশিষ্ট্য হলো কমবেশি প্রত্যেকটি পটাশিয়াম সিফিলিস রোগের উপর ও নার্ভ বা স্নায়ু এর উপর কাজ করে।

মার্ক বা পারদ গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি সিফিলিস এর উপর কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের উপর কাজ করে।

সর্প বিষ গ্ৰুপের প্রত্যেকটি  ঔষধ কমবেশি রক্ত বিষাক্ত করে।

ব্রোমাইড গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি স্নায়ু এবং ব্রেনের উপর কাজ করে।

ক্যালকেরিয়া গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি হাড় এবং দাঁতের উপর কাজ করে।

সালফেট গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি চর্ম রোগের উপর কাজ করে।

জিঙ্কাম গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি ঔষধ স্নায়ুর ওপর কাজ করে।

ন্যাট্রাম গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি বিষন্নতা ও কোষ্টবদ্ধতা সৃষ্টি করে।

আয়োডিন বা আয়োডিন যুক্ত প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি ক্ষয় এবং শরীরের বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের উপর কাজ করে।

এসিড গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা সৃষ্টি করে,ব্যাতিক্রম এসিড ফ্লুওর।

কেলি গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ শীতার্ত,ব্যাতিক্রম কেলি সালফ এবং কেলি আয়োড।

ক্যালকেরিয়া গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি শীতার্ত ব্যাতিক্রম ক্যালকেরিয়া সালফ।

এসিড গ্ৰুপের প্রত্যেকটি ঔষধ কমবেশি শীতার্ত ব্যাতিক্রম এসিড সালফ ও এসিড ফ্লুওর।

সাধারণত সোরার বৃদ্ধি সকাল এগারোটা ও বিকেল তিনটায়।

সাইকোসিস এর বৃদ্ধি সারা‌ দিন

সিফিলিস এর বৃদ্ধি সারা রাত।

সাধারণত সাইকোসিস শরীরের বামদিকে আক্রমন করে।

সিফিলিস ডান দিকে আক্রমণ করে।

সোরা সর্ব দিকে আক্রমণ করে।টিউবার কুলার মায়াজমে আক্রান্ত রোগী গনের অভ্যাস,যে খাদ্যে বা কাজে রোগীর কষ্ট বা অসুবিধে বাড়ে,সে খাদ্য খেতে বা সে ধরনের কাজ করতে রোগী বেশি পছন্দ করে।

উল্লেখ্য পূর্ণ যক্ষা রোগ বা টিউবারকুলোসিস ও টিউবার কুলার মায়াজম বা টিউবারকুলার ডায়াথেসিস এক জিনিস নয়।

পূর্ণ যক্ষা রোগে আক্রান্ত হবার পুর্বে যে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়,সে দীর্ঘ সময় টাকেই টিউবারকুলার মায়াজম বলা হয়।

লেখক :

ডাঃ মুহাম্মাদ মহিব্বুর রহমান

সিনিয়র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, নোয়াখালী। 

Next Post Previous Post