বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী হোমিও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথি (ক্যাশ) কর্তৃক আয়োজিত ‘৮ম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সম্মেলন-২০২২’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন। হোমিও চিকিৎসায় আরও গবেষণা ও বাজেট বৃদ্ধির কথা বলেন।
দেশের সকল হাসপাতালে ক্রমান্বয়ে হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ করার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হোমিও চিকিৎসায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী হোমিও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি দেশে হোমিও চিকিৎসা আরও জোরালো করা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম হয়েছে। সারা বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে আছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। সে সময় আপনারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাও সেবা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথি একটি পরীক্ষিত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটার কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। এটাতে কোনো এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নেই। আপনাদের মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে হবে। আমি নিজেও অ্যালোপ্যাথি নেই না। হোমিওপ্যাথি নিই। চায়না, ইউরোপের অনেকগুলো দেশ হোমিওপ্যাথির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। কাজেই আপনাদের আরও বেশি রিসার্চ করতে হবে। নিজেদের সেবাকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আগামী দিনে হোমিওপ্যাথির বাজেট বাড়ানো হবে।
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথির (ক্যাশ) সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, 'হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মানোন্নয়নে আমাদের তিনটি দাবি রয়েছে। দ্রুত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আইন পাস করতে হবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে রিসার্চ সেন্টার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।