হোমিওপ্যাথির নক্ষত্র ডা. এস. এ. মালেকের মৃত্যুতে ডা. শিপলুর শোক
হোমিওপ্যাথির শুভাকাঙ্খী, হিতৈষী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ, লেখক, বঙ্গবন্ধু পরিবারের পারিবারিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রাক্তন রাজনৈতিক উপদেষ্টা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কনভার্ট হোমিওপ্যাথ (এলোপ্যাথ এমবিবিএস পাস হতে হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস পাস), বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এস.এ মালেক স্যার বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর ২০২২) রাত ১১টা ১০ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এস.এ মালেক এমবিবিএস পাশ ডাক্তার হওয়া সত্যেও ঘটনাক্রমে এলোপ্যাথি প্র্যাক্টিস না করে হোমিওপ্যাথিতে ডিএইচএমএম কোর্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন।
হোমিওপ্যাথির এই নক্ষত্র ডিএইচএমএম পাশের পর সারাজীবন হোমিওপ্যাথি প্র্যাক্টিস করে অত্যন্ত সুনাম অর্জন করেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ এস. এ. মালেক যখন রাজবাড়ী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন, তখন তিনি আফসোস করে বলেছিলেন- "আমার ১৮ বছর প্র্যাকটিস জীবনে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অনেকটাই উপহাস বলে মনে হয়েছে"। হামদর্দ সন্ধ্যা আয়োজিত এক প্রোগ্রামে একবার বলে ফেললেন মনে চাপা দুঃখ- যা স্মরনিকার মাধ্যমে আমাদের নজরে পড়েছিল।
তিনি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন বিশেষ করে ১৯৯৬/৯৭ এর দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে ভারতের মত সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সরকারি জেলা সদর হাসপাতালে প্রথম মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথিক) পদে হোমিওপ্যাথি পাসকৃত চিকিৎসকদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ ও পদায়ন শুরু হয় যা এখনও নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
দেশের এই হোমিওপ্যাথিক কিংবদন্তির মৃত্যুতে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক সমাজ একজন অকৃত্তিম বন্ধু হারালো। হোমিওপ্যাথদের রাজনৈতিক সংকটে এই ক্ষতি অপূরণীয়।
এক শোকবার্তায় বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক, শিক্ষক, কলাম লেখক, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক ও শিক্ষক নেতা ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) কর্তৃক ডা. এস. এ মালেক এর প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।