ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বিভিন্ন রোগ-আরোগ্যে হোমিওপ্যাথির ভুমিকা

ছয় ঋতুর বাংলাদেশে যেকোন সময়ই আমাদের একটু আধটু ঠাণ্ডা লাগে, জ্বর সর্দি কাশি কম বেশি সবার মাঝেই দেখা যায়।বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে সমস্যগুলো বেশি দেখা দেয়।

  অনেকের আছে সর্দি কাশি খুব একটা নেই,হয়তো কখনো কখনো থাকে। তবে অনেকেই  সকালে ঘুম থেকে উঠলে সর্দি কাশি কিছু নেই, শুধু হাচি দেয়।একটু বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় সকাল বেলা থেকে হাচির পাশাপাশি মাথাব্যথা থাকে।অনেকের আবার কিছুটা শুষ্ক কাশি থাকে।

  এক্ষেত্রে নাপা কিংবা তুস্কা সিরাপ খেয়ে অনেকেই ভালো থাকে।কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে গিয়ে বয়সটা যখন ৪০/৪৫ বছর ওভার হয় তখন।সেক্ষেত্রে প্রথমে ৫০০ টাকা ফি এর ডাঃ দেখান। তারপর ১০০০/ টাকার, তারপর দেশের সর্বোচ্চ ভালো ডাঃ। তারপর দেশের বাহিরের ডাঃ ইত্যাদি ইত্যাদি।

    কিন্ত একটু গভীরে খবর নিলে যানা যাবে এদের মা বাবা চাচা ফুফু দাদা দাদাীর মধ্যে কারো না কারো এজমা, শ্বাসকস্ট,সাইনোসাইটিস বা নাকে পলিপাস ছিলো বা কোল্ড এলার্জি আছে।

   রোগে পরে ঔষধ খাওয়া যতটা কস্ট কর তারচেয়ে সুবিধা রোগ প্রতিরোধ করা। হয়তো অনেকেই বলবেন আগে আগে ঔষধ খাবো কেন??? কিন্তু কথা হলো বাঁশ গাছের গোড়া দিয়ে তো তাল গাছ বের হবে না,তাই না!" আপনার পুর্ব পুরুষের যে রোগ আছে আপনার বয়স ৪০ শেষ হলে আপনারও ওই রোগ হবে। তাই জিবনের শুরুতেই যখন আপনার মধ্যেও  ছোট বেলায় ঐ রোগের লক্ষন প্রকাশিত হচ্ছে, তখনই আপনি রোগের চাপা না দিয়ে প্রকৃত সাদৃশ্য চিকিৎসা করান। ভালো থাকবেন,অন্যদের তুলনায় সুস্থ অবস্থায় বেচে থাকবেন, যতদিন বাচেন।

  জিবনের শুরুতেই যখন দেখেছেন অকারনে হাচি, মাথাব্যথা, সহজে যাচ্ছে  না, প্রায়ই হচ্ছে তখন এটা ভবিষ্যত সাইনোসাইটিস বা নাকে পলিপাস এর লক্ষন বলে জানবেন। শুষ্ক বা কফ যুক্ত কাশি ভবিষ্যত এ্যজমা- শ্বাস কস্ট- ফুসফুস ইনফেকশন - ফুসফুস ক্যান্সার ইত্যাদি। আপনার বয়স যত বাড়তে থাকবে রোগের নামেও ততো পরিবর্তন আসবে, আপনার কস্টও ততো বাড়তে থাকবে।কিন্তু মানুষতো আপনিই। বিভিন্ন পরিবর্তিত রোগ লক্ষন, রোগের বিভিন্ন নাম, বিভিন্ন সময়। কিন্তু আপনার জিবনীশক্তি যার সুচনা বা লক্ষন প্রকাশ করেছে আপনার জিবনের শুরুতেই। 

  তাই সামান্য বলে অবহেলা না করে সময় থাকতে বংশগত রোগের চিকিৎসা নিন, প্রকৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এর কাছে যেয়ে। সময় গেলে কস্টই বাড়বে, সমাধান হবে না। আল্লাহ সবার মংগল করুন।

লেখক :

ডাঃ মাসুদা আক্তার মুন্নী

ডিএইচএমএস (বিএইচবি)-ঢাকা

Next Post Previous Post