বোধশক্তিসম্পন্ন সৃষ্টি হলো মানুষ; এই বোধের বহিঃপ্রকাশই মানবতা
বোধশক্তিসম্পন্ন সৃষ্টি হলো মানুষ; এই বোধের বহিঃপ্রকাশই মানবতা। মানবতার যথার্থ বিকাশের জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। উন্নত চরিত্র মনুষ্যত্বের ভূষণ। আবার উন্নত চরিত্র গঠনের জন্য নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন সঠিক নৈতিক শিক্ষা অর্জন সৃষ্টিকর্তার দেওয়া বিধান ছাড়া সম্ভব নয়। মুলত ধর্মই মনবতা জাগ্রত হওয়ার মাধ্যম।
অনেক কথিত বুদ্ধিজীগন ধর্মকে মানবতা থেকে আলাদা মন্তব্য বা দাবী করলেও আসলে ধর্ম ছাড়া মানতা এবং মানবতা ছাড়া ধর্ম কল্পনা করা যায় না। অথাৎ যেখানে ধর্ম নাই সেখানে মানবতা নাই আবার যেখানে মানবতা নাই সেখানেও ধর্ম নাই, এরা একে অপরের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত।( কখনও সুযোগ হলে ধর্ম ও মানবতা বিষয়ে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো)
ধর্ম তাহাই যাহা মানুষের কল্যানের কথা বলে, উত্তম মানুষ গড়ার পথ দেখায়, মানবতার কথা বলে, মহানুভবের কথা বলে, সহিষ্ণুতার কথা বলে। ধর্ম কখনই হিংসা বিদ্বেষের কথা বলে না, সমাজ ভাঙ্গার কথা বলে না। সব ধর্মই উদারতার কথা বলে, শান্তির কথা বলে। যেখানে ধর্ম নাই সেখানে কখনো শান্তির পায়রা উড়ে নাই। মানবতাই যদি ধর্ম হয় তাহলে আর্তমানবতার কল্যাণ সাধনেরর মাধ্যমেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।
আমাদের বিভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন রঙের চামড়া থাকতে পারে, কিন্তু আমরা সবাই এক মানব জাতির অন্তর্গত। আমাদের সৃষ্টিকর্তাও একজন এ থেকে সৃষ্টিকর্তার বিধান অনুযায়ী আমরা একে অপরের পাশে মানবতা দিয়ে এগিয়ে আসবো এমনটাই হওয়া উচিত৷ ইসলাম ধর্মে সমগ্র মানব জাতিকে মানুষ হিসাবে বিবেচিত করে মানবতার কল্যাণ সাধন করাকে এতোটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত মানবজাতির কল্যাণের জন্যে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে" ( সুরা আল ইমরান) অথাৎ ধর্মের কাজই হলো মানবজাতির কল্যান।
তাই আসুন আর্তমানবতার সেবা ও অধিকার আদায়ে ধর্মীয় মহানুভবতা, মানবতা ও আতিথেয়তার নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নে মানব কল্যানে কাজ করি।