ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান ; নিবেদিত হোমিওপ্যাথিক সংগঠক

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র ও একনিষ্ঠ সংগ্রামী নেতা, সৎ, ও সময়ের সাহসী একজন লড়াকু সৈনিক, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার পদবী পুনরুদ্ধার ও হোমিওপ্যাথির উন্নয়নের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রাত দিন কাজ করছেন নিজের জীবনের মায়া ছেড়ে। হোমিওপ্যাথির এই দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। 

তিনি নিজের চেম্বার ও পরিবারকে সময় না দিয়ে, নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে তৈরি করেন হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়। নিজের যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলি ব্যয় করেছেন হোমিওপ্যাথি ও গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায়। 

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান চট্টগ্রামের গরীবদুঃখী মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তিনি নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রেখেছেন।

তিনি একজন হোমিওপ্যাথি গবেষক, বাংলাদেশের একজন সেরা ক্যান্সার চিকিৎসক ও ক্যানসার গবেষক। বিশ্বের সেরা সেরা হোমিওপ্যাথিক ক্যান্সার গবেষকদের সাথে রয়েছে তার নীবির সম্পর্ক। তিনি করোনা ভাইরাসের উপরও গবেষনা করেন এবং করোনা ভাইরাসের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিস্কার করেন, যা সরকারীভাবে চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তার আবিষ্কৃত অনেকগুলি ঔষধ এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। হোমিওপ্যাথি ঔষধের গবেষণার জন্য তিনি ছোট্ট  পরিসরে একটি ভেষজ বাগান তৈরি করেছেন।

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান হোমিও চিকিৎসা শাস্ত্রে ডি.এইচ.এম.এস ডিগ্রীধারী একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।  তিনি বিজ্ঞান বিভাগের একজন খুবই মেধাবী ছাত্র  ছিলেন এবং  কৃতিত্বের সাথে পাস করেন। 

তিনি অল্টানেটিভ জাপানিজ চিকিৎসা পদ্ধতি রেইকি গ্রেজুয়েশান এবং চায়নিজ ট্রিটমেন্ট সিস্টেম এর উপর গ্যানোথেরাপি ট্রেনিং করেন।

ডাঃ লোকমান একজন তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিলেন। খেলেছেন চট্রগ্রামের বিভিন্ন নামীদামী ফুটবল ক্লাবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অগ্রদূত ক্লাব হালিশহর, নওজোয়ান জুনিয়র ক্লাব, আবাহনী জুনিয়র ক্লাব, জাগৃতি বয়েস ক্লাব, দিশারি ক্লাব, আদর্শ ফ্রেন্ডস ক্লাব, চট্টগ্রাম।

তার স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলার। কিন্তু মানুষের দুঃখ কষ্ট তাকে বড়ই বিচলিত করে তোলে। তাইতো তিনি প্রিয় ফুটবল খেলাকে বিদায় দিয়ে চলে আসেন মানবতার কল্যানে। গরীব অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু একটা করতে হবে। তাইতো তিনি নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন, হোমিওপ্যাথির মত একটি মহান পেশায়।

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান :

১৯৮৬ সালে হোমিও কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিচয় হয় হোমিওপ্যাথি জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সাহেবের সাথে। 

 হোমিও মেডিক্যাল ছাত্র ঐক্য পরিষদে যোগ দেন এবং নেতৃত্ব গ্রহন করেন। হোমিওপ্যাথি ডাক্তারী পাশ করে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের শ্রেষ্ঠ সংগঠন হোমিও পেশাজীবী সমিতি (হোপেস) মানব কল্যানকর কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে হোপেসের নীতি আদর্শ বক্ষে ধারন করে ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সাহেবের আদর্শ ও স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সাবেক বোর্ড মেম্বার অধ্যাপক ডাঃ উজ্জ্বল কান্তি চৌধুরী স্যারের সহকারী হিসাবে ৯ বৎসর অত্যান্ত সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।  

পরে তিনি নিজেই চেম্বার দেন এবং গঠন করেন বিভিন্ন দাতব্য চিকিৎসালয়। বর্তমানে তিনি হোপেস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল স্থাপন করেছেন, হোপেসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার এবং সাবেক সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদলের সহযোগীতায়  বোয়ালখালিতে শুরু হয় চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালের কার্যক্রম। প্রতিদিন প্রায় ১৫০-২০০ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হত এই হাসপাতালে। হোমিওপ্যাথি হাসপাতালটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিল। সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে। 

এই হাসপাতালে  বিনা বেতনে দীর্ঘ ১১ বছর শ্রম দিয়েছেন মেডিক্যাল অফিসার, সমন্বয়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছেন- Arsenic Album, Hand Sanitiser ও মাস্ক।

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান ভালোবাসেন আর্তপীড়িত মানুষকে :

চট্রগামে পশ্চিম মাদার বাড়ীতে মায়ের নামে তার সুবিশাল চেম্বার "বিলকিস হোমিও হল"। চেম্বারে উপার্জিত টাকা প্রতিমাসে বিলিয়ে দিচ্ছেন সমাজ সেবায়। হোমিওপ্যাথিকে ভালবেসে গরীব দুঃখী সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে। থেমে নেই তার মহৎ কর্মযজ্ঞ। 

ডাঃ মোহাম্মদ  লোকমান যে সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন :

★হাফেজ নজির আহমদ হেফজ খানা ও এতিম খানা,

★দাতা সদস্য- মাদারবাড়ী হাফেজিয়া এতিম খানা, চট্টগ্রাম,

★প্রতিষ্ঠাতা ও দাতাসদস্য এবং সাবেক পরিচালক- আহমদ হোসেন ফাতেমা রহমান হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয় পটিয়া, চট্টগ্রাম।

★ দাতা সদস্য ও পরিচালক এবং মেডিক্যাল অফিসার- ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, ধোরলা বিদগ্রাম বোয়ালখালি চট্টগ্রাম।

★ হোমিও ঔষধ প্রদানকারী হিসেবে অধ্যাপক ডাঃ উজ্জ্বল কান্তি চৌধুরীর মাধ্যমে ৯ বছর অর্থ প্রেরণ করেছেন পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমের হোমিও দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য।

★ সাবেক হোমিও মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন আনন্দমার্গ হোমিও দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র সদরঘাট অফিস ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বস্তিতে।

★ পথকলি শিক্ষা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (১৯৮৭সন) রেলওয়ে বস্তি মাদারবাড়ি, ওয়ারলেস কলোনি, ফিরোজশাহ কলোনি ও শেরশাহ কলোনি;

★ যুগ্ম সম্পাদক সুর্যের হাসি ক্লিনিক (নিষ্কৃতি) চট্টগ্রাম।

★ সাধারন সম্পাদক- মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্হা, সদরঘাট, চট্টগ্রাম।

★ সাধারন সম্পাদক হোমিও অধ্যয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ।

ডাঃ মোহাম্মদ লোকমান কর্তৃক তার নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত আরো অনেক দাতব্য চিকিৎসালয় :

১) নজিরিয়া নঈমীয়া মাহমুদিয়া হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, বিসিক চাঁদগা, চট্টগ্রাম

২) নজির ভান্ডার হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, কাপুড়িপাড়া, আগ্রাবাদ।

৩) ২৮, ২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ডভুক্ত এতিম ছাত্রদের জন্য শাহেনশাহ হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, পশ্চিম মাদার বাড়ি, চট্টগ্রাম।

৪) নলুয়া হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, নলুয়া সাতকানিয়া চট্টগ্রাম।

৫) রত্নাপালং হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, থিমছড়ি রত্নাপালং উখিয়া কক্সবাজার।

৬) তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, ভ্রাম্যমান (চট্টগ্রাম জেলা)।

হোমিও চিকিৎসা সেবায় তার মহৎ কর্মকান্ডের জন্য পান সম্মানসূচক একাধিক পদক পান :

★ চিকিৎসা বিষয়ক- রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন হতে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি পদক। 

★ আলোকিত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন হতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গোল্ডেন এ ওয়ার্ড -২০১৯. 

★ বিনোদন পত্রিকা রঙ এর পক্ষ থেকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা স্মারক।

★ আশেকানে নজীর ভান্ডারী যুব পরিষদ থেকে দেয়া হয় গুণীজন সংবর্ধনা- ২০১৮.

এমন একজন মহৎ ও বড় মনের মানুষ ডাঃ মোহাম্মদ লোকমানকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ভালোবাসা।

তথ্য সংগ্রহে :

ডাঃ মোঃ মাসুদ মিঞা 

প্রভাষক: হোপেস হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

সভাপতি: হোমিও পেশাজীবী সমিতি (হোপেস) নরসিংদী জেলা শাখা 

Next Post Previous Post