চির নিদ্রায় শায়িত হলেন অধ্যক্ষ ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা

 হাজারো ছাত্র-শিক্ষক ও চিকিৎসকদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বাবার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন অধ্যক্ষ ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা।

অধ্যাপক ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ তানজিম হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে তিনি কর্মরত ছিলেন। 

ছাত্রজীবন থেকেই তোখর মেধাবী কিংবদন্তি এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বেরসাথে হোমিওপ্যাথির সর্বোচ্চ ডিগ্রী বিএইচএমএস পাশ করেন।

বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক সমাজের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র গত রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হন। দুর্ঘটনায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। 

টানা ৬দিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১০টার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও হোমিওপ্যাথিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শোকবার্তা প্রেরণ করেছে। যার ফলে রবিবার (১৬ অক্টোবর) দেশের হোমিওপ্যাথিক কলেজো কালোব্যাজ, কালো পতাকা উত্তোলন, শোক সভা ও দোয়া মুনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। 
মরহুম অধ্যাপক ডাঃ কামারুজ্জামান ভূঞা’র তিনটি জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজার নামাজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে (জামতলা), দ্বিতীয় জানাজা বেলা ১১টায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড প্রাঙ্গণে ও তৃতীয় জানাজা বাদ জোহর গাজীপুরস্থ উনার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে ডাক্তার ফাহিম শাহরিয়ার সোহান। 

জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থনে বাবার কবরের পাশে কিংবদন্তি এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। 

গুনী এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের মৃত্যুতে দেশের হোমিওপ্যাথিক সমাজে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

Next Post Previous Post