দ্রুত অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইলে যে নিয়মগুলি মানতে হবে


 প্রত্যেকের স্বপ্ন থাকে বাবা-মা হওয়ার। তার একটা নিজের সন্তান থাকবে, পরম মমতায় তাকে বড় করবে। শেষ বয়সে তাদের হাতে লাঠি হবে। তবে বাবা-মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেহাত সহজ নয়। তাই ভাবনা-চিন্তা করে যারা এই সিদ্ধান্ত নেন, তারা আর দেরি করতে চান না। 
তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করার সময়ে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় আরও মাসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরও। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হতে আরও সময় লেগে যায়। তবে অনেকেই এই সময়ে বুঝতে পারেন না যে, তারা অজান্তেই কিছু এমন ভুল করে ফেলছেন। আর সে কারণেই আরও বেশি পিছিয়ে যায় তাদের এই নতুন সফর। কিছু নিয়ম মানলেই এই নতুন পথচলা আরও মসৃণ হয়ে উঠবে। জেনে নিন সেগুলি কী।

১। গর্ভ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বন্ধ

এর আগে কি নিয়মিত গর্ভ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাচ্ছিলেন? তা হলে মনে রাখবেন ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার পরও শরীরের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে ফিরতে সময় লাগবে। অন্তত মাস তিনেক সময় লাগতেই পারে। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। যে সময়ে পরিবারে নতুন সদস্য আনার কথা ভাবছেন, তার বেশ কিছু মাস আগে থেকেই এই ধরনের ওষুধ বন্ধ করা প্রয়োজন।

২। কখন সম্ভাবনা বেশি

মাসের কোন দিনগুলিতে শারীরিক সম্পর্ক আপনার মা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বাড়িয়ে দিতে পারে, তা বুঝতে হবে। ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে ১৩-১৪ দিন পর আপনার শরীর সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত থাকবে। তাই ঋতুস্রাবের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি চেষ্টা করেন, তা হলে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে আর একটি জিনিসও মাথায় রাখতে হবে। শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ করার পর পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। কিন্তু ডিম্বাণু থাকে মোটে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। তাই একদম ১২ থেকে ১৪ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে তার কিছু দিন আগে থেকেই শারীরিক সম্পর্কের প্রয়াস করুন।

৩। কী ভাবে?

কী ভাবে সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সঙ্গম নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসেন? এই সময়টি সে সব না করাই ভালো। কী ভাবে সঙ্গমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, তার পরামর্শ নিতে পারেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।

৪। লুব্রিক্যান্ট নয়

সঙ্গমের সুবিধার জন্য কি কোনও রকম লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করেন? এই সময়ে তা না করাই ভালো। এতে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

৫। ধূমপান করবেন না

তামাক সন্তানধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপান বন্ধ করে দিন। এতে ভবিষ্যতেও আপনার সুস্থ সন্তান ধারণে সুবিধা হবে।

৬। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন

স্থূলতা শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই জরুরি। খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার দিকে নজর দিন। ওজন অতিরিক্ত বেশি থাকলে তা গর্ভপাতের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

Next Post Previous Post