সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে সকল রোগের সুচিকিৎসা দিয়েছেন
যদিও রোগ নির্ণয় ও রোগের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা (টেস্ট) করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
দেখা যায় অধিকাংশ জায়গায় টেস্টের নামে চলছে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট বাণিজ্য ও হয়রানি। এ অবস্থায় একজন রোগী টেস্ট করাতে করাতে আরো আরো জটিল রোগ আক্রান্ত হচ্ছে। একজন আদর্শ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের টেস্ট টেস্টে এর প্রয়োজন রয়েছে সীমিত। কারণ হোমিওপ্যাথি সাইকোলজি , প্যাথলজি ও ফিলোসফি সমন্বিত।
* পাইলস রোগীদের জন্য কিছু নির্দেশনা।
পাইলস/অর্শ বর্তমান মানব সভ্যতায় একটা সুপরিচিত রোগ। অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস, তৈলাক্ত ,চর্বিযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার অতিরিক্ত গ্রহন। বর্তমানে অনিয়ম তান্ত্রিক জীবন যাপন। কারণে-অকারণে টিকা গ্রহণ। বংশগত কারণ ও সাইকোটিক মায়াজমের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
পাইলস কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়
1) External piles
2) internal piles
প্রচলিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় অপারেশন এর একমাত্র পথ। দেখা যায় অপারেশনের পরবর্তীতে রোগ আবার রিকারেন্ট করে অথবা বিভিন্ন রকমের পার্শ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যা একজন মানুষের জীবনকে করে দুর্বিষহ ও যন্ত্রণাময়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগ আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
কিভাবে পাইলস প্রতিরোধ করবেন:
হোমিওপ্যাথিক মৌলিক নীতি অনুসারে চিকিৎসা করলে ৯৫% পাইলস রোগী আরোগ্য করা সম্ভব। রোগটা পুরো পুরি কিওর বা আরোগ্যের ক্ষেত্রে রোগের গভীরতা ও রোগীর অবস্থা উপর নির্ভর করে 1/2/3/4 মাস বা রোগী বেঁধে কম বেশি সময় লাগতে পারে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রুগীর রোগ লক্ষণ সাদৃশ্য নিচের যে কোন ওষুধ কার্যকরী হতে পারে।
রোগীর সাথে সঠিকভাবে না মিলাতে পারলে নিচের একটা ঔষধেও কাজ করবে না।
Thuja, Ars Alb, Bar val, Aesculus hip, Collonso, Medo, Lacha, Aloe s , Nux Vom, Sulphur, Millifolium, Hamamalis ইত্যাদি।
পাইলস আক্রান্ত রোগীর সঠিক ঔষধ সেবনে পাশাপাশি যে সকল নিয়ম মানতে হবে।
১.মল নরম রাখবেন
২.মল ত্যাগের সময়ে অতিরিক্ত চাপ দিবেন না
৩.হাই কমোড পরিহার করুধ
৪. তিন থেকে পাঁচ মিনিট এর মধ্যে মলত্যাগ শেষ করতে হবে।
৫. তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।
৬.দীর্য সময় দাড়িয়ে বসে থাকবেন না।
৭) পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে।
৮) টাইম মত ও পরিমান মত ঘুমাতে হবে ।
রোগের গভীরতা ও রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা থাকতে পারে ,সেটা চিকিৎসক নিশ্চিত করে রোগীকে বলে দিবেন।
যেকোনো প্রকার কঠিন রোগ একজন আদর্শ ক্লাসিক্যাল চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিবেন।
পার্শ্বপ্রতিকৃয়ামুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন সুস্থ থাকুন।
লেখক
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক
ডি এইচ এম এস (বিএইচবি) ঢাকা
বি এইচ এম এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) কন্ট.