বিশ্বাস ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ায় : গবেষণা রিপোর্ট
হামিম উল কবির || ওষুধের প্রতি বিশ্বাস থাকলে তা দেহের রোগ সারাতে কার্যকর হয়। গবেষকরা বলছেন, ওষুধের প্রতি বিশ্বাস থাকলে মস্তিষ্ক শরীরকে এই বলে সঙ্কেত পাঠায় যে, "রোগের বিরুদ্ধে ওষুধটি কাজ করবে এবং শরীরকে সুস্থ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, তাদের গবেষণা মনের শক্তি ও প্লাসিবোর (ওষুধ নয় কিন্তু ওষুধ হিসেবে মানুষকে যা সেবন করানো হয়। গবেষণাকাজে প্লাসিবো ব্যবহার করা হয়) প্রভাবকেই প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মনের শক্তি দেহের কোলেস্টেরল কমাতে পারে না অথবা টিউমারকে ছোট করতে পারে না, এটা বিজ্ঞানীরা জানেন। কিন্তু ব্যথার মতো উপসর্গকে কমিয়ে দিতে পারে।
এই গবেষণায় ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৪২৫ জন অ্যাপেনডিক্স বা অ্যাপেনডিসাইটিস রোগীদের মধ্যে গবেষণাটি করা হয়, যাদের বেশির ভাগের বয়স ছিল ৩০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে তাদেরকে গবেষণায় নেয়া হয়। যাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার আগের শরীরে অবস্থা সম্বন্ধে জানাতে বলা হয়। গবেষকরা এদের সবাইকে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করেন। এই গ্রুপ তিনটিকে এভাবে ভাগ করা হয়, যারা বিশ্বাস করে যে অ্যান্টিবায়োটিক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। দুই নম্বর গ্রুপটি মনে করে যে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করলে করতেও পারে এবং তিন নম্বর গ্রুপটি বিশ্বাস করে, 'অ্যান্টিবায়োটিকে তারা সম্পূর্ণ সফল হবে। গবেষকরা প্লাসিবো হিসেবে চিনিযুক্ত অথবা
সাধারণত স্যালাইনযুক্ত ঔষধ রোগীকে দেন। এটা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে মনে হয় যেই। কোনো হাতিয়োরেই কোনো জরিনা ওষুধ থাকে না অথবা এটা কোনো ব্যক্তির স্বারে কোনো ক্ষতি করে না। বিজ্ঞানীরা প্রকৃত ওষুধের সাথে প্লাসিবো এ কারণে ব্যবহার করেন যে, তারা চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহার করতে হারে কাজ করে আমরা মুখ ছাড়াই দেহে কী ধরনের প্রতিক্রি করে তা লেখার জন্য। যেমন কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের সাথে কিছু এমন ক রোগীদের দেয়া হয় যাতে রোগীরা মনে করে যে তারা প্রকৃতই ওষুধ খেয়েছে। ফলে কোলেস্টেরল কমে গেছে অথবা কোলেস্টেরোল কমেনি।
গবেষণার ফলাফল দেখানো হয়েছে, যারা বিশ্বাস করত যে আন্টিবায়োটিক তাদেরে সুস্থ করবে তাদের ১৩ শতাংশের অস্ত্রপচার লাগেনি। এই দেশের ১১১ জনের মধ্যে ১৫ জলের (১৪ শতাংশ) রোগ সারাতে অস্ত্রো প্রচারে যেতে হয়েছে। অন্য দিকে যারা ওষুধে বিশ্বাস করা এমন ৯২ জনের মধ্যে ২৪ জনের (২৭ শতাংশ) অস্ত্রোপচার লেগেছিল সুস্থ হতে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, যারা জাতির যোনিকে বিশ্বাস করেছে তাদের ১৫ শতাংশের বেশি পাকস্থলীর বাথা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের ৬ শতাংশ প্রকাশ করে
উল্লেখ, আপেনডিক্স খুবই ছোট টিউবের মতো একটি অঙ্গ যে অঙ্গ দৃশ্য কোনো কাজ নেই এই অঙ্গটি বৃহদাহের সাথে সংযুক্ত ইনফেকশনের কার ে যায়। এ কারণে পেটে সারাক্ষনই ব্যাথা লেগেই থাকে। ইনফেকশন বেশি হলে হাঁটতে এমনকি কাশি দিলেও বাধা বাড়তে থাকে। বেশি ইনফেকশান হলে, বেশি রাখা হলে রোগীকে আছে পচার করে এই অঙ্গটি কেটে ফেলে দিতে পরামর্শ দেয়া হয়। আক্রোপচার করার পর কয়েক সপ্তাহেই মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসকরা অ্যাপেডিক্সের ইনফেকশানে অ্যান্টিবায়োটিক যেতে বলেন। পরিসংখ্যান বলছে, এই অঙ্গটিতে ইনফেকশান হয়ে থাকে বাসের ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
জামা সার্জারি নামক জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এটা একটি আন্তর্জাতিক পিয়ার রিভিউড জার্নাল। ১৯২০ সাল থেকে জার্মা সার্জন জার্নাল বৈজ্ঞানিক রাতের পিয়ার বিভিউ প্রকাশ করে যাচ্ছে।
অতএব চিকিৎসায় সফলতা পেতে বিশ্বাসের বিকল্প নেই।
প্রচারেঃ-
ডিএইচএমএস, ঢাকা।
চেম্বারঃ- হোমিও কমপ্লেক্স, ঢাকা ইপিজেড সংলগ্ন, আশুলিয়া, ঢাকা।