হোমিওপ্যাথির বিপ্লব : প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য ১০ জন তরুণ হোমিওপ্রেমিক
চলমান এই অবস্থার উত্তরণে একটি যুগপদ বিপ্লব প্রয়োজন। আর সেই হোমিওপ্যাথিক বিপ্লবে প্রয়োজন মাত্র ১০ জন সৎ ও যোগ্য তরুন হোমিওপ্রেমিক। কি, অবাক হলেন! তাহলে শুরু করা যাক.....
বিভিন্ন কথিত হোমিও সংগঠনের নেতাদের বুদ্ধিবৃত্তিক টোপে আমরা আটকে আছি। আমরা কি সঠিক অর্থে হোমিওপ্যাথির উন্নয়ন ও সংগঠন বুঝতে পেরেছি? বুঝার চেস্টা করেছি কখনো??
বর্তমান সংগঠনের হোমিও নেতারা মুখে মুখে বড় বড় বুলি আওড়ায়, হোমিওপ্যাথির উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে অনেক হোমিওপ্যাথ নেতার প্রাত্যহিক জীবনে এর কোনো ছিটেফোঁটাও নেই। যার কারণে হোমিওপ্যাথি নিয়ে এতো এতো কথা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে।
হোমিওপ্যাথিক অঙ্গনে সামগ্রিক উন্নয়নের ধোঁয়া তুলছে, কিন্তু বাস্তবে আমরা তার উল্টো চিত্র দেখছি। আজ হোমিওপ্যাথিতে এত সংগঠন থাকার পরও হোমিওপ্যাথি ধ্বংসের তাণ্ডব নৃত্য চলছে।
‘বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি অঙ্গনে 'ডাঃ পদবী চাই' এবং হোমিওপ্যাথি সংগঠন অঙ্গনে ‘অধিকার আদায়’ বহু-উচ্চারিত দু’টি শব্দবন্ধন। এ দু’টি শব্দবন্ধনের প্রায়োগিক ব্যবহারও বায়বীয়।
অর্থাৎ যার কোনো বাস্তবিক কার্যক্রম বা ভিত্তি নেই বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে সরকার বিভাগ এবং হোমিওপ্যাথি অঙ্গনে হোমিওপ্যাথিক আন্দোলন/সংগঠন শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক কোনোকিছু সৃষ্টি করতে পারছে না।
নবীন তরুণ হোমিওপ্যাথি সহযোদ্ধা বন্ধুগন একবার ভাবুন তো সংগঠন গুলো আমাদের অধিকার আদায়ের বুলি দিয়ে সংগঠনে আমাদের যুক্ত করানো হচ্ছে। কিন্তু সংগঠন গুলো তো অনেক আগ থেকেই চলমান। অবশ্যই তাঁদের অবদান ভুলবার নয়। যা পেয়েছি এজন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়?? অনেক প্রবীণদের মাঝে ঐক্য লক্ষ্য করা যায় না। তাহলে ইতিপূর্বে যা হয়েছে তা কি কোন ব্যক্তি স্বার্থে নাকি জাতীয় স্বার্থে...??
(এ বিষয়ে আমার পূর্বের লেখা কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি নেতৃবৃন্দের প্রতি আমার খোলা চিঠি পড়ে নিতে পারেন)
প্রবীণ স্যারদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে শ্রদ্ধা করি। কারণ সকল প্রবীণ স্যার একনন। ভালো ব্যক্তিত্ব আছে বলেই আমরা সঠিক বিষয় এখনও জানতে পারছি এবং অনেক স্যারগনের ত্যাগের বিনিময়ে আজকে হোমিওপ্যাথির একটু হলেও উন্নতির ফসল ভোগ করতে পারছি। (আমরা বাস্তবিক ভাবে এমন প্রকৃত হোমিওরত্ন প্রবীণ স্যারদে মুল্যায়ন করার মতো তেমন কিছুই করছি না। বিষয়টা নবীন হোমিওপ্যাথ ডাক্তার ও সংগঠনগুলোকে ভাবা দরকার।)
তবে আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি যে, চলমান উন্নয়নের নামে কথিত হোমিও সংগঠন ও নেতাগন দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন পীরতন্ত্রের মত ব্যবসা। পৃথক মন্ত্রণালয় হয় নাই। নেই কোন কাউন্সিল। বিজ্ঞজনরা মনে করেন এসব না হওয়া পর্যন্ত পরিপূর্ণ অধিকার সম্ভব না। তাহলে এসব গঠনে হোমিও নেতা এবং সংগঠনগুলোর ভূমিকা কি??
আসলে বোর্ড বা সরকারের চেয়ে এসব হোমিও সংগঠন/নেতাগণ আসলেই দায়ী কিনা সেটা অনুসন্ধানের বিষয়!! অনেকের ধারণা মন্ত্রনালয়/কাউন্সিল গঠন হলে মেধাবী তরুন একাডেমিক চলমান ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি হলে হোমিও কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়ন হলে ভাটা পরবে কিছু নেতার শিক্ষা বানিজ্যে......!!!
আফসোস!!!
এত কিছুর পরও আমার কিছু তরুন হোমিওপ্যাথ বন্ধু একাডেমিক ও বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন না করে প্রতিনিয়ত হোমিওপ্যাথির কিছু কথিত দরবেশ স্যার পেছনে ছুটছে। অনেকেই হয়তো আমার উপর রেগে যেতে পারেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো আমাদের একাডেমিক/বাস্তবিক শিক্ষার অনীহা অলসতার সুযোগ নিয়ে আমাদের নাচের পতুল বানিয়ে তারা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলে মত্ত?? একবার ভাবুন এদের কি আর কোন কাজ নেই?? দয়া করে না রেগে ভাবুন....আর আমার লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ে ভুল ধরিয়ে দিন!! এদিকে আমি আমার পরিকল্পনা শেয়ার করি।
এতোক্ষণে হয়তো আমার উপরে অনেকেই রাগও হয়েছেন৷ ভাবেছেন লেখা শুরু করলো ১০ জন তরুন দিয়ে হোমিওপ্যাথির বিপ্লব সম্ভব এখন এসব কিচ্ছা শুনায়... হ্যা ভাই, আপনাকেই দরকার! এ ১০ জনের মিছিলে ১ জন হিসাবে। যদি আপনাকে নিয়ে ১০+১+ জন হয় আলহামদুলিল্লাহ। আমরা আপনাকেই চাই আপনি যেহেতু এ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে এসেছেন তাহলে শেষ পর্যন্ত থাকবেন।
আমি যে হোমিও সংগঠনে আছি সেখানকার কেন্দ্রীয় সভাপতি একদিন অনেকটা আফসোস করেই আমাকে বললেন, যদি আপনার মতো ১০ জন সক্রিয় জনশক্তি থাকতো তাহলে সংগঠন পরিবর্তন হয়ে যেত। (এখানে বলে রাখা ভালো, আমি তথাকথিত নেতা হতে সংগঠনে আসিনি)
সভাপতির সেই দিনের সেই আফসোস করে বলা ১০ জন শব্দ থেকেই আমার ভাবনা শুরু। ভাবনাটা একটু অন্যরকম, যে শুধু সংগঠন কেন পুরো জাতিরই তো পরিবর্তন সম্ভব। হ্যা এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চাই শুধু সক্রিয়তা সুসংগঠিত সংগঠন এবং মূল লক্ষ্য ঠিক রেখে সুন্দর পরিকল্পনা।
সময় !!! ০৪ অক্টোবর ২০২২ , ১৯ আশ্বিন ১৪২৯ , ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪।
ফজর নামাজ শেষ করে ভাবতেই চলে আসলো সেই পরিকল্পনা। হোমিওপ্যাথিতে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ...
পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বিশ্লেষণ :
সফল হতে চাই মাত্র ১০ জন সৎ সাহসী তরুনের সমন্বয়ে ১০ বছরের একটি মিশনের মাধ্যমে। প্রাথমকি ভাবে এই ১০ জন ব্যক্তিকে স্বার্থের উর্ধ্বে একমাত্র হোমিওপ্যাথি তথা আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করতে হবে।
কি ভাবছেন, এ ১০ জনকে নিয়ে আমরা নতুন সংগঠন খুলবো?? উত্তর : না। বলতে পারেন সংগঠন ছাড়া আন্দোলন সুসংগঠিত করা কি সম্ভব না? হ্যা একমত অবশ্যই না।
আমরা মূলত যখন সংবদ্ধ হবো তখনই সংগঠনের সুত্রে একটা অটো প্রাথমিক সংগঠন হয়ে যাবে বা বলা যাবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যেহেতু জাতীয় স্বার্থ এবং সকল অপশক্তি ধ্বংস করে সকল সংগঠনের ঐক্যের বন্ধনে হোমিওপ্যাথির বিপ্লব। সে ক্ষত্রে আপনাকে কৌশলে আপনি যে সংগঠনে আছেন সেখানেই থেকে কাজ করতে হবে।
এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গুন থাকা চাই :
১. কোন প্রদর্শন ইচ্ছা থাকা যাবে না, কাজ হবে হোমিওপ্যাথির স্বার্থে।
২. জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিপূজা, সংগঠন ও দলের মতাদর্শ ভূলে যেতে হবে।
৩. উদার মনের হতে হবে, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
৪. এখানে নিজ সংগঠনের/প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ঐক্যকে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে।
৫. হোমিওপ্যাথির জাতীয় স্বার্থে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। আমাদের কাজ চলবে কিন্তু কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে না।
৬. শিক্ষা অর্জন এবং শিক্ষা প্রদানের মন মানষিকতা থাকতে হবে।
৭. আর্ত মানবতার সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ করার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
আমাদের কার্যক্রম যা হবে :
ক) হোমিওপ্যাথির প্রচারে স্বার্থহীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করা;
বর্তমান সময়ে কোন আন্দোলন সফল কিংবা ব্যার্থ এমনকি কোন জাতিকে প্রতিষ্ঠা করতেও মিডিয়া মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ্য করলে দেখবো বর্তমান সময়ে হোমিপ্যাথির প্রচারে তেমন কোন মিডিয়া নেই বললেই চলে। এর মাঝে যা আছে অধিকাংশ জাতীয়স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই বেশী প্রচারিত হয়। যার ফলে জনসাধারণের মাঝে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে পজেটিভ ধারণার চেয়ে নেকেটিভ ধারণাই বেশী লক্ষ্য করা যায়।
আশার বানী হলো এখনো কিছু সৎ ব্যক্তি আছেন তাঁদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া গুলো জাতীয়স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ক্ষত্রে যে কোন সময় যে কোন তথ্য দিয়ে এসব মিডিয়ায় সবাই সহযোগিতা করবো। (কোন প্রতিনিধির নাম প্রকাশ ছাড়া)।
খ) দক্ষ লেখক তৈরি করা;
কোন আন্দোলন সফল করতে সমাজ ও রাস্ট্রে সুশীল সমাজের সমর্থনের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে দক্ষ কলামিস্ট, লেখক, সাংবাদিকদের কাছথেকে প্রশিক্ষিণ নিয়ে নিজেরা দক্ষ হবো এবং পরবর্তী প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলবো। ইনশাআল্লাহ্।
গ) জনসাধারণের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন;
যে কোন আন্দোলনে আমজনতার সমর্থন ছাড়া সফলতা আশা করা যায় না। জনসাধারণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে চাই মানব সেবা। আমরা আর্ত মানবতার সেবায় সব সময় সজাগ থাকবো। সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা সহ যে কোন সমস্যায় আমাদের সমাজের মানুষের পাশে থাকবো এবং জনসাধারণের মাঝে সেবার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথির পজেটিভ দিক ও সচেতনতা বৃদ্ধি করবো। হোমিওপ্যাথিক সেবা নেন এমন জনসমষ্টির সমন্বয়ে সাপোর্টার সংগঠন দ্বার করবো। প্রয়োজনে জাতীয় স্বার্থে সে সংগঠনের ব্যান্যারে আন্দোলনে শরীক করানোর কাজ করবো। এক্ষেত্রে সমাজে চলমান সকল সামাজিক সংগঠনের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখার বিকল্প নাই।
ঘ) কলেজ গুলোতে একাডেমিক ছাত্র বৃদ্ধি এবং ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি ;
শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ অধিকার আদায়ে ছাত্র আন্দোলনের বিকল্প নেই। হোমিওপ্যাথিক কলেজ গুলোতে এজন্য চাই একাডেমিক ছাত্র বৃদ্ধি করা। এজন্য মেধাবী ছাত্রদের হোমিওপ্যাথি সেক্টরে আসার জন্য উৎসাহ প্রদান এবং সহযোগিতা করা।
একাডেমিক ছাত্র বৃদ্ধিতে আমরা যে ভাবে কাজ করবো - আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে অন্তত ১০জন করে মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট নিবো। তাদেরকে শুরু থেকেই নিজেদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পড়াশোনাসহ সকল কাজে সহায়তা করবো। এখন থেকে এসএসসি পাশ করার পরই তাদের সরাসরি ডিপ্লোমা তে ভর্তি করানো।
SSC- তে A+ সহ ভালো টপ মানের রেজাল্ট অর্জন করা ছাত্রদের HSC তে ভর্তিসহ তাদের আরও বেশী বেশী খোঁজ খবর এবং গাইড লাইন দিয়ে পাশে থাকবো। H.S.C-তে কাঙ্খিত ভালো রেজাল্ট হলেই তাদেরকে জাতীয় স্বার্থে ফ্রী কোচিং করিয়ে BHMS কোর্সে মিরপুর সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি উপযোগী করানো ও ভর্তি হওয়ার বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করা। এ দিক দিয়ে এসব নবীন মেধাবীদের আরও দক্ষ করে উক্ত কলেজে ছাত্রদের মাঝে তাদের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়া এবং ছাত্র সংসদে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের গড়ে তোলা আদর্শ ছাত্রদের প্যানেল আনতে সহযোগিতা করা।
ঙ) বোর্ডে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা;
হোমিপ্যাথির উন্নয়নে বিশেষ করে ডিপ্লোমা ডাক্তারদের অধিকার আদায়ে বোর্ডের ভূমিকা অন্যতম। এজন্য বোর্ডে চাই সৎ নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে কলেজ স্যারদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। বোর্ড নির্বাচনে সৎ সাহসী হোমিও প্রেমীদেট শিক্ষক নির্বাচনে উৎসাহ প্রদান এবং সহযোগিতা করে পাশে থাকতে হবে। সেই সাথে ধারাবাহিক নেতৃত্ব বজায় রেখে আদর্শীক ভাবে গড়ে তোলা ছাত্রদের হোমিওপ্যাথির স্বার্থে কলেজে শিক্ষকতার চাকরী নিতে উৎসাহিত করা।
সর্বশেষ আবারও বলি- আপনি যে সংগঠনের বা যে মতাদর্শেরই হোন না কেন! সেটা আপনার জায়গায় ও আপনার সংগঠনের জায়গায় কাজ করবেন। স্ব স্ব সংগঠনে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে শক্ত অবস্থান তৈরি করুন। এখানে আপনি আমি কাজ করবো হোমিওপ্যাথির স্বার্থে। কোন নাম প্রকাশে না। কোন প্রকার পোস্টার ব্যানা টাঙ্গিয়ে নয়। সৎ ইচ্ছা নিয়ে হোমিওপ্যাথির সেবায় এগিয়ে আসুন।
পরিবেশ তৈরি হলেই স্ব স্ব সংগঠনের মাঝে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যের ডাক, এরপর সংগঠন গুলো মুলধারায় ফিরে আসলে আমরা আমাদের বিশাল আদর্শবাহী জনশক্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবো। ইনশাআল্লাহ।
দশ বছর পর একটা স্থায়ী পরিবর্তন আসবে আসবেই ইনশাআল্লাহ। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে এ সময়ের আগেও সম্ভব। চাই ১০ জন সৎ সাহসী তরুন সহযোদ্ধা।
আমি /আপনি /আমরা হয়তো বা সফলতা আনতে পারবো কিনা জানি না। কিন্তু হতাশ না হয়ে আশা রাখি আমাদের মিশনে নব তরুণ এমনও মেধাবী নেতৃত্ব আসতে পারে সেই মেধাবী নেতৃত্বের হাত ধরেই হোমিওপ্যাথির বিজয় আসবেই। তাহলে অপেক্ষা কিসের??? আসুন শুরু করি এখন থেকেই। আপনাকেও জাতীয় স্বার্থে আমন্ত্রণ আমাদের এ হোমিওপ্যাথিক বিপ্লব মিশন-১০ এ।
পরিশেষে হোমিওপ্যাথিকর জনক স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের সেই বিখ্যাত বাণীটি লিখেই আজকের মতো শেষ করছি-
“হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বুদ্ধি-বিবেচনাহীন বর্বদের জন্য সৃষ্টি হয়নি, সৃষ্টি হয়েছে জনকল্যাণের জন্য”। ধন্যবাদ।
লেখক :
সভাপতি
হোমিওপ্যাথিক ছাত্র ও চিকিৎসক উন্নয়ন সংগঠন।
রাজশাহী বিভাগীয় শাখা ।