হোমিওপ্যাথিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি খোলা চিঠি

 সম্মানিত হোমিওপ্যাথিক সংগঠনে নেতৃত্বদানকারী সকল স্যারদের প্রতি শুরুতেই আমার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার সহিত সালাম জানাই,  আসসালামু আলাইকুম। 

আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ থেকে নিজ নিজ জায়গায় হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে কাজ করে চলছেন। 

আমি আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে খোলা চিঠির মাধ্যমে  আমার মন্তব্য /দাবি পেশ করছি....

হোমিওপ্যাথিক সংগঠন সমূহের নেতৃত্বে থাকা সম্মানিত  দায়িত্বশীলগন;

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক, ডাক্তার, ছাত্র, শিক্ষকগন  খুব একটা ভালো সময় পার করছেন না। অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দুঃখের সাথে বলতে হয় অনেকের অহেতুক জেল জরিমানাও হচ্ছে।  এতে করে জনসাধারণের মাঝে হোমিওপ্যাথ ডাক্তাদের বিষয়ে অনেক কৌতুহল তৈরি হচ্ছে।  সেই সাথে ছাত্রদের এবং নতুন প্রজন্মদের মাঝে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা নিয়ে এবং হোমিওপ্যাথির উপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মনব সেবায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশায় ভূগছেন। যা বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির জন্য খুবই হতাশাজনক। 

এমন ভাবে চলতে থাকলে আমাদের হোমিওপ্যাথিক সমাজ  সংখ্যালঘু হতে শুরু করবে। যা ইতি মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি। 

সম্মানিত দায়িত্বশীল স্যারগণ;

আমরা অবশ্যই আপনাদের নিয়ে আশাবাদী।  আমরা আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা করি। আপনাদের অতীত পরিশ্রম, সংগ্রাম, আন্দোলনের ফসল হিসাবে আজ আমরা হোমিওপ্যাথিক বোর্ড পেয়েছি।  পেয়েছি সারা বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত  হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ। পেয়েছি একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।  পেয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে এমবিবিএস সমমান বিএইচএমএস ডিগ্রি করার সুযোগ। আমরা নতুন প্রজন্ম  আপনাদের এসব অবদানকে ভূলতে পারি না। 

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন "স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন" কথিত আছে, বঙ্গবন্ধু কোন এক কারনে আফসোস করে বলছিলেন,  দেশ স্বাধীন করে আমরা পেয়েছি চোরের খনি!! অনুরূপ ভাবে আপনাদের আন্দোলনের ফসল হিসাবে আমরা হোমিওপ্যাথিতে যা পেয়েছি বর্তমান সময়ে তা রক্ষা করা সময়ের দাবি বলে মনে করি। এবং আমারা মনে করি  আধুনিকতার যুগে এতটুকু সাফল্য আমাদের জন্য পরিপূর্ণ নয়। এখনও আধুনিক বিজ্ঞানময় যুগে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।   

যেমন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পৃথক মন্ত্রণালয় রয়েছেন।  আমাদের দেশে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছি। অচথ এ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মোড়ল হিসাবে অন্যপ্যাথি তাদের মত প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এতে আমরা পরাধীনতার শিখলে আবদ্ধ হয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের হোমিওপ্যাথি থেকে কিছু সংখ্যক হোমিও ডাক্তারগনকে মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ দিলেও সেখানে অন্যপ্যাথির প্রতিষ্ঠান হওয়ার করনে স্বাধীন পেশা হিসাবে পরিচালনা করতে পারছেন না বলে অনেকের অভিযোগ। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক  বোর্ড নিয়ন্ত্রিত  হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতাল গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কতটা অবহেলিত  শিক্ষা আমারা ছাত্র /ছাত্রী গন পেয়ে থাকি। মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে মেডিক্যাল কলেজ মানের পাঠদান, ক্লাস রুম, যোগ্য শিক্ষক, মেডিক্যাল ল্যাব নেই বললেই চলে। এবং অনেকের মাঝে প্রশ্ন কৌতুহল জাগ্রত হয় আসলেই কি এসব প্রতিষ্ঠানকে মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল বালা যায়?? আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি,  আমরা সত্যকে পেয়েছি কিন্তু পেয়েও নিজেরা সত্যকে সুন্দর ভাবে গ্রহন করতে পারি নাই। এবং আমাদের ব্যর্থতার কারনে সত্যকে অন্যের কাছে উপস্থাপন ও করতে পারছি না। 

(আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমার এক হোমিও প্রেমি এমবিবিএস পড়ুয়া এক বন্ধুকে নিয়ে কোন এক হোমিওপ্যাথিক কলেজে  ঘুড়তে গিয়েছিলাম।  তাঁর কাছে এটাই ছিলো কোন হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ১ম আসা। পরবর্তীতে আমার বন্ধুর অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি বাস্তবতার কারনে দিতে পারি নাই) 

বর্তমান যুগের সাথে আমাদের অধিকার আদায়ে কি কি দাবি রয়েছে তা বাংলাদেশে যত হোমিওপ্যাথিক সংগঠন রয়েছে তাঁরা তাঁদের দাবি জাতির সামনে তুলে ধরছেন।  তাই এ বিষয়ে লেখে আমি আমার লেখা বড় করতে চাই না। আমি আমার জায়গায় লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশে এখনও অনেক অতীত আন্দোলনে সফলতায় পরীক্ষিত প্রতিষ্ঠিত হোমিও সংগঠন এবং নেতা রয়েছেন।  কিন্তু এর পরও একের পর এক সংগঠনের আবির্ভাব হতে চলছে। এর শেষ কোথায়?? এর সুফল কি??  অনেক প্রশ্নই থেকে যায়!! 

যদি বলি এর শেষ নাই কে শোনে কার কথা। তাহলে কি এমন না যে আমাদের সিনিয়র স্যার নেতারা পরিপূর্ণ সফলতা দিতে ব্যর্থ!  সুফল হিসাবে যদি ধরি, যত সংগঠন হবে তত হোমিও সমাজ অধিকার আদায় হবে (যা অনেক সিনিয়র স্যার হতেও শুনেছি) তাহলে কি আমরা আজীবন অধিকার আদায়ে একের পর এক নতুন নতুন সংগঠন করে যাবো?? প্রবাদ বাক্য রয়েছে,  সাপ মেরে লেজ জিয়ে রাখা! এমন হয়নি তো আমাদের অতীত আন্দোলন গুলো? 

শ্রদ্ধাশীল প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক নেতাগন :

ভালোবাসা শ্রদ্ধা ভক্তি রেখে বলতে চাই আপনারা নতুন প্রজন্মের জন্য এগিয়ে আসুন। যদি হোমিওপ্যাথিতে নতুন প্রজন্ম তৈরি না হয়।  তাহলে আপনাদের আজীবন স্বরণীয় করে রাখবেন কে? আপনরা এমন কাজ করবেন না বলে আশা করি, পরবর্তী প্রজন্ম আপনাদের ঘৃনা করেন!! আজকের যে নতুন নতুন সংগঠন তৈরি আর যে যার গতি পথে বিছিন্ন ভাবে ব্যর্থ আন্দোলন করছেন।  এর জন্য কি আপনারা দ্বায়ী না? নেই কি আপনাদের দায়ীত্ব?  ভাবুক বিবেক দিয়ে! যদি সাপ মেরে লেজ জিয়ে না রাখার মতো অতীতে না হয়ে থাকে, তখনই যদি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন সহ হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল গঠন হতো তাহলে এতো মত হলে এতো পথ তৈরি হতো না বলে আমি মনে করি। অনেক বিজ্ঞ স্যারদের কাছ থেকে শোনা যায় তখনকার সময় কিছু ব্যক্তি স্বার্থ বা সংগঠনের স্বার্থে এমন নাকি করা হয়নি। যার ধারাবাহিকতায় এখনও সঠিক পন্থায় তাঁরা আন্দোলন করছেন না বা একক নেতৃত্বে আন্দোলনে আসতেছেন না। কারন কাউন্সিল ও মন্ত্রণালয় গঠন হলে কোন গোষ্ঠি ব্যক্তি/সংগঠনের দাদাগির হয়তো থাকবে না। এখনও সময় আছে স্যার আপনাদের মাঝে ঐক্য করার। আমরা আপনাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিবো। আমরা কোন হিংসাত্বক শিক্ষা গ্রহন করতে চাই না। 

আমার ভালোবাসার সহযোগী ছাত্র সংগঠন এবং নতুন চলমান সকল সংগঠনের নেতাগন;

আমরা লক্ষ্য করেছি বর্তমান সময়ে নতুন নতুন সংগঠন গুলো আন্দোলনে সক্রিয়।  এটা নিশ্চয়ই আশার দিক। 

কিন্তু হতাশার কিছু দিক লক্ষ্য করা যায়। তাঁর মধ্যে অন্যতম হলো আমরা সিনিয়র ভাই/স্যারদের অবজ্ঞা করে চলছি। আমাদের আন্দোলনের ভাষা আন্দোলনের মতো হওয়া উচিৎ।  অনেক ভাষাগত সমস্যার কারনে আমাদের মাঝে ঐক্য হচ্ছে না। আমরা হোমিওপ্যাথিক স্বার্থে আন্দোলন করতে গিয়ে সংগঠনের স্বার্থ খুঁজি,  আর এতে করে আমরা জিতে গিয়েও হেড়ে যাচ্ছি। কিছু অযৌক্তিক ফেসবুকে লেখা-লেখি করছি। আন্দোলনে অযৌক্তিক  দাবি করছি যা স্ব বিরোধী। 

আমাদের আন্দোলনের ভাষা কেমন হচ্ছে আর কেমন হওয়া উচিৎ ছিলো :

 আন্দোলন করি যেহেতু জাতীয় স্বার্থে সেখানে আমরা আমাদের একক সংগঠনের দাবি বলে প্রচার করছি। এবং আন্দোলন পূজি করে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রচারের সুযোগ নিচ্ছি।  অন্য সংগঠনের সমালোচনা করছি গালী দিতেও দ্বিধা করছি না।  

অচথ আমাদের উচিৎ নিজ জায়গায় যা করছি আলহামদুলিল্লাহ।  এতে অন্যের মতের শ্রদ্ধাশীল হওয়া এমন ভাষা ব্যবহার না করি যাতে আমাদের ভাষার কারনে হোমিওপ্যাথি সমাজের প্রতি জনসাধারণের ঘৃনা জন্ম নেয়। বরং এমন ভাষা প্রেয়োগ করি অন্যেরা আমাদের যেন বন্ধু হয়ে যান। যে যার প্রচারণা চালাবে জনতা যেটা সঠিক সে মত গ্রহন করবেন। 

সবাই আন্দোলন আন্দোলন বলে অনলাইনে চিল্লায়, কিন্তু মাঠে নাই। অনেকেই অতীত কোন ফেক অথবা  মিছিলের ও মানববন্ধনের  নিজ ছবি প্রচার করছি।

আমাদের উচিৎ ছিলো ময়দানে গিয়ে জনসমর্থন বাড়ানো। প্রত্যক জেলা/উপজেলায় শক্ত অবস্থান তৈরি করা। বিশেষ করে কলেজে সাধারণ ছাত্র ও শিক্ষক সহ সুশীল সমাজের মাঝে হোমিওপ্যাথির সাফল্য ইতিহাস তুলে ধরা। 

 আমরা বলছি আমাদের ডাক্তার পদবী নাই। যা একদম স্ব-বিরোধী। এতে জনসাধারণের মাঝে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে বিভ্রান্ত তৈরি হচ্ছে। 

আসলে আমাদের বলতে হবে আমরা আমাদের অধিকার চাই। এখানে অধিকার শব্দের মাঝে ডাক্তার পদবী থেকে সকল কিছু চলে আসে। আর ডাঃ পদবী যে নাই এমন না। বরং আমাদের ডাঃ পদবী থাকার পরও হয়রানি করা হচ্ছে এটা বলা উচিৎ। 

আমরা অনেকে বলছি হোমিওপ্যাথি ত্যগ করলাম। আবার অনেকে লেখা লেখি করছি পরীক্ষা বর্জ করো, যদিও এখানে অধিংশ ছাত্র না। 

আপনি যদি  হোমিওপ্যাথিকেই ত্যাগ করেন। তাহলে বলতে হয় তালাক দেওয়া স্বামীর উপর কোন অধিকার দাবি করা যায় না। আপনাকে এ সেক্টর নিয়ে কথা বলা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। এবং যারা পরীক্ষা বর্জন নিয়ে যারা কথা বলছি, আমরা কি কখনও ভেবেছি জাতীয় ভাবে এমন ঘোষণা দেওয়ার যোগ্যতা আমার কতটুকু। আমার সংগঠনের সারা দেশে কতটা কলেজে শক্ত অবস্থান রয়েছে?? 

 কত % ছাত্র আমাদের পক্ষে আছেন?? (এবিষয়ে আমার পূর্বের লেখা ❝পরীক্ষা বর্জন ও আমার ভাবনা❞ পড়ে নিতে পারেন)

একদল ডিপ্লোমাদের ডাঃ পদবী চাইছি আবার সহকারী মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ চাকরি নিয়ে দাবি করছি। আমাদের বুঝা দরকার ডাঃ এর সহকারী কখনও ডাক্তার হতে পারে না। ডাঃ এর সহকারী হয় মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট।  আমাদের চাওয়া উচিৎ সহযোগী মেডিকেল অফিসার। আদের উচিৎ অন্যপ্যাথিতে এভাবে অন্যেপ্যাথির মতে চলে চাকরী না করে বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায় নিজেদের প্যাথির হাসপাতালের দাবি করা,  তখন চাকরী চাকরী বলে এতো চিল্লাতে হবে না। 

আমরা অনেকেই বোর্ডকে নিয়ে সমালোচনা করছি।  এবং অনেকে হোমিওপ্যাথিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছি। আমাদের মনে রাখা উচিৎ হোমিওপ্যাথিক বের্ড যতদিন পর্যন্ত রয়েছে ততদিন বোর্ড আমাদের সম্পদ। আপনি সমালোচনা করুন বোর্ডে থাকা দুর্নীতিবাজদের নিয়ে। আপনি হোমিওপ্যাথি নেতৃত্ব থাকা তেলবাজ নেতাদের সমালোচনা করুন, প্রশ্নবিদ্ধ করুন। হোমিওপ্যাথিকে নয়। এমন আরও অহেতুক মনগড়া না জেনে না বুঝে আমরা ভাষা প্রয়োগ করছি তা পরিহার করা দরকার। 

অনেকে বলছি বিএমডিসির কালো আইন কালোহাত, ইত্যাদি অহেতুক কথা। আমাদের বুঝা উচিৎ বিএমডিসির আইন বিএমডিসির জন্য। সেটা কালো হোক সাদা হোক তাদের জন্য। আমাদের জন্য পৃথককরণ আইন রয়েছে সেটার সঠিক বাস্তবয়ন এবং প্রয়োগ চাই। এমন অনেক অহেতুক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা দরকার। এবং আমরা অনেক প্রবীণ হোমিওপ্যাথ স্যারদেরও অহেতুক হিংসাত্মক কথা গালী দিতেও দ্বিধা করছি না। যা সত্যিই হতাশাজনক। 

সর্বশেষ আমাদের মনে রাখা উচিৎ অতীতের ভালো খেলোয়াড় বর্তমানে ভালো প্রশিক্ষক হয়ে যেমন ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারলেও তাঁর পক্ষে মাঠে খেলা সম্ভব না। কিন্তু তাঁকে যদি বলি আপনি প্রশিক্ষণ দিবেন আমার সাথেও খেলবেন।  বোকামি ছাড়া কিছু নয়। এজন্য বলছি প্রবীণদের পরামর্শ গ্রহন করি। তাঁদের সাথে  এমন বোকামি আাচরণ যেন না করি তাঁরা অপমানিত হয়ে আমাদের থেকে দূরে যান। এতে আমাদের দক্ষ জনশক্তির তৈরিতে বাধা হয়ে যাবে।  

হে তরুন নব নেতৃত্ব থকা সহযোদ্ধা হোমিওপ্যাথিক বন্ধুগন;  ”দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে” প্রবীণদের সঠিক পরামর্শ  পাওয়াটাই আমাদের জন্য বড় পাওয়া। সিনিয়রদের অপমান করে নয়, বরং তাঁদের দোয়া এবং পরামর্শ নিয়ে নিয়ে মাঠে থাকুন। তবেই আপনি সফল হবেন।  

আমি/ আমরাও আন্দোলন চাই সেটা সঠিক নেতৃত্বে সঠিক নিয়মতান্ত্রিক পন্থায়। আজ যে দূর্নীতিবাজ নেতার বিরোধে লড়বো। তার চেয়ে শক্তিশালী না হলেও তার সমকক্ষ সৎ দক্ষ নেতা চাই। নয়তো আন্দোলন সফল হবে না। "পালহীন এবং মাঝি ছাড়া কখনও নৌকা তার সঠিক গতিতে চলতে পারে না" এজন্য আমাদের এ স্লোগান নিয়ে সামনে যেতে হবে নেতৃত্ব চাই সততার যোগ্যতার সমন্বয়।  (❝হোমিওপ্যাথিক আন্দোলন ও আমার ভাবনা❞  চাইলে আপনারা পড়ে নিতে পারেন)

সম্মানিত সকল হোমিওপ্যাথিক নেতাদের প্রতি আমার শেষ আবেদন, হোমিওপ্যাথিক সেক্টর নিয়ে হতাশা থাকলেও আশার দিক হলো, বাংলাদেশে এখনো আপনাদের মতো অনেক সৎ দক্ষ নেতা রয়েছেন। বাংলাদেশী জাতিদের  রয়েছে স্বাধীনতার অর্জনের মহৎ ইতিহাস।  আমাদের বর্তমান একদল টগবগে হোমিওপ্রেমি নতুন প্রজন্ম রয়েছেন। আমাদের মাঝে রয়েছেন অনেক জ্ঞানীজন। রয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দলে থাকা হোমিও প্রেমি সৎ রাজনীতিবিদ।  এমনকি সরকারের আমলাতে ও রয়েছেন অনেক হোমিও প্রেমি হোমিওপ্যাথিক নিয়ে পড়াশোনা করা সাবেক ছাত্র । তাহলে এতো হতাশা কিসের??

আপনাদের প্রতি অনুরোধ বর্তমান আন্দোলন  নামে সার্কাস চলছে, তা বন্ধ করে সঠিক অধিকার আদায়ে  জতীয় স্বার্থে দালাল মুক্ত একটি শক্তিশালী সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করুন।

আমাদের অধিকার পরিপূর্ণ পেতে যদি পৃথক মন্ত্রণালয় এবং হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের বিকল্প না থাকে।  তাহলে বিশাল  সংখ্যক হোমিও ডাক্তার, সাথে ৪০% + হোমিও সেবা নেওয়া জনগন এবং তরুন হোমিও ছাত্রদের ভোটকে পূজি করে,  সকল রাজনৈতিক দলের কাছে দাবি পেশ করার অনুরোধ করছি। সরকার  যেই আসুক আমাদের এ বিশাল অংক ভোটার জনশক্তিকে তাঁরা অবহেলা করতে পারে না। সুযোগ কে কাজে লাগতে পারলে একটা সফলতা আশা করা যায়।  

প্রয়োজনে সে সঠিক নেতৃত্ব যখন যেকোন সময় যেকোন কর্মসূচি দিলে আমার মতো হাজারও লক্ষ তরুণ অধিকার আদায়ে জীবনবাজি ও রাখতে সর্বদা প্রস্তুত।  ইংশাআল্লহ্। চাই সঠিক নেতৃত্ব চাই দালাল ব্যক্তিস্বার্থ মুক্ত ঐক্য। তবেই আসবে সফলতা। 

সর্বশেষ আমার লেখায় কোন বেয়াদবী হলে স্যারদের প্রতি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য এবং ঐক্যের মাধ্যমে সমাধানে আসার অনুরোধ রেখে এখানেই শেষ করছি।আল্লাহ হাফিজ। হোমিওপ্যাথি জিন্দাবাদ।


অনুরোধক্রমে :

মুহাঃ আব্দুল মতিন সরকার 

সভাপতি 

হোমিওপ্যাথিক ছাত্র ও চিকিৎসক উন্নয়ন সংগঠন। 

রাজশাহী বিভাগীয় শাখা।

Next Post Previous Post