পরীক্ষা বর্জনের বিষয়ে আমার ভাবনা

যেখানে ছাত্ররা আন্দোলন করে সেশনজটের বিরোধে। সেখানে হোমিওপ্যাথিয়ান রা আন্দোলন করে সেশনজট বাড়তে। আর যারা এসব আবেগ দেখায়তেছেন বৃষ্টিতে লেপে শুয়ে ফেসবুকে লেখছেন। বাস্তবে অধিকাংশ কোন ছাত্রই না এবং হলেও ছাত্র মানের না। 

কোন ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থাকলে এমন মূর্খ দাবি করতো না। কলেজে তালা দেবেন, অচথ আসল কথা হলো কলেজ এমনিতেই তালা’র মতোই। 

সবচেয়ে আসল কথা হলো যারা বলছেন হোমিওপ্যাথি ত্যাগ করলাম পরীক্ষা দিবো না। ক্লাস করবো না। আপনি ত্যাগ করলেন তাহলে আপনি আর এ সেক্টরের কেহ না। তাহলে  কথা বালার অধিকার ও নাই। আপনি আপনার মতো থাকুন যেহেতু ত্যাগ করলেন!!

তবে হ্যা, পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন আন্দোলন হয় সেটা জাতীয় আন্দোলন না। কলেজ কেন্দ্রীয়ক আন্দোলন।  কোন কলেজ নিয়মহীন কাজ করলে তখন বোর্ডে নজরে আনার জন্য উক্ত কলেজে এমন আন্দোলন করা যেতে পারে। যখন বোর্ডের ই সমস্যা তখন পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেওয়া বোকামী নয় কি?? কারণ ইতিমধ্যে আমারা সকল ফিস জমা দিয়েছি। আর সারা বাংলাদেশে সকল কলেজ সকল ছাত্র  আপনার নিয়ন্ত্রিত না। তাই এমন ব্যর্থ অহেতুক কর্মসূচির কথা বলে লেখালেখি করে  দিয়ে নিজেদের মূর্খের পরিচয় দেওয়া ছাড়া আর কি?? আপনি বোর্ডের বিরোধে না বরং বোর্ডের দায়িত্বশীলদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলুন এটা আপনার অধিকার।  আপনি বোর্ডকেই প্রশ্নবিদ্ধ করলে তাহলে হোমিওপ্যাথির অস্তিত্ব রাখার দরকার নাই। আর এ দায়িত্ব কোথা থেকে আসে সেটা কি ভেবেছেন কখনও? জানতে চাই সচেতন হোমিওপ্যাথ স্যার ডাক্তার নেতাদের কাছ থেকে??

আসল জায়গায় নজর না দিয়ে আজারে জায়গায় চিল্লানি দিয়ে লাভ নাই। যখন বোর্ড সদস্য নির্বাচন হয় তখন কই থাকেন। সে সময় কি সৎ ব্যক্তিদের জন্য প্রচারণা চালায়ছেন অথবা সৎ ব্যক্তিকে সহযোগিতা করেছিলেন?? নাকি নিজ চেম্বার কর্ম ব্যস্ততা নিয়ে ছিলেন। যদি সৎ নেতৃত্ব তৈরি করতেন,  তাহলে তো কথা ছিলো না। সে সময় আন্দোলন কই ছিলো। মূর্খের মতো অসৎ বক্তিদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন অথবা দেখে চুপ ছিলেন। এখন এসেছেন আবেগ দেখাতে।  ছাত্রদের সেশনজট ঘটাইতে। এসব মূর্খদের না আসে কোন সাংগঠনিক জ্ঞান না আসে কোন আন্দোলনের ইতিহাস।  

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলছেন?? আপনারাই এ বোর্ড চেয়ারম্যান মহাদয় কে শুভেচ্ছা দিয়েছিলেন। হোমিও রত্ন লেখে তেল মেরে পোস্ট করেছেন!! দিন তারিখ লেখে রাখেন চেয়ারম্যান মহাদয়ের কিছু করতে পারবেন না। হয়তো আপনাদের পূজি করে নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে কিন্তু সেটা নীতির পরিবর্তন নয়। মূল জায়গায় টার্গেট করুন। 

লক্ষ্য এখনো স্থির হয় নাই। (জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট) 

অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা হয় কিন্তু সত্যি প্রকাশ করলে হোমিওপ্যাথির বদনাম হয়!! জাতীয় স্বার্থে বেশী কিছু আর না লেখি। তবে অনুরোধ করবো সময় থাকতে আবেগে নিজের ধ্বংস বয়ে আনা থেকে বিরত থাকুন। সময় অনেক বাকী। সময়ের গান সময়ে না গেয়ে অন্য সময়ে গেয়ে লাভ নাই। এখন উপায় একটাই সেটা আপীলে মামলা চালিয়ে যাওয়া সেই সাথে বিভিন্ন হয়রানি যে ঘটনা ঘটছে এসব প্রতিরোধে আদালত  আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া। সঠিক নেতৃত্ব তৈরিতে মেধাবী তরুন ছাত্র/ছাত্রদের হোমিও সেক্টরে আনতে উৎসাহীত করা।  এর মাঝে সুসংগঠিত ভাবে নেতৃত্ব পরিবর্তন করা। সৎ যোগ্য নেতৃত্বতের বিকল্প নাই। সেই সাথে এমন নেতৃত্বের অধীনে ঐক্য হয়ে পৃথক মন্ত্রণালয় এবং নিজস্ব কাউন্সিল গঠন করা।  


লেখক পরিচিতি -

মুহাঃ আব্দুল মতিন সরকার 

সভাপতি 

হোমিওপ্যাথিক ছাত্র ও চিকিৎসক উন্নয়ন সংগঠন। 

রাজশাহী বিভাগীয় শাখা।

Next Post Previous Post