এবার বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর পত্র লিখেছেন ডা. শিপলু
একই সাথে তিনি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত দপ্তরে সেই চিঠি প্রেরণ করেন।
১। সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
২। সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৩। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা। ৪। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা।
৫। সদস্য (বোর্ড সদস্য), বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড পরিচালনা কমিটি, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯ (সকল বোর্ড সদস্য)।
বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লেখা ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) র চিঠিটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো।
বরাবর,
চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড,
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়,
সড়ক নং ১/এ, বাড়ী নং ১৬, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯
মাধ্যম : রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সড়ক নং ১/এ, বাড়ী নং ১৬ নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯।
বিষয় : বাংলাদেশে সরকার স্বীকৃত সকল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের কোর্সে পাশকত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড হতে সকল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ছবিসহ তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইটে দ্রুত অর্থভুক্ত করার আবেদন ।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এর সরকারি ওয়েবসাইট (www.bbuasm.gov.bd/) ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের সংখ্যা, নিবন্ধিত চিকিৎসকদের ছবিসহ তথ্য, বিভাগ, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর অন্তর্ভুক্ত আছে। দেশ-বিদেশে যে কেউ ভিজিট করতে পারে। আর অপরদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রতিষ্ঠা : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ) নিজেদের ওয়েবসাইট (www.homoeopathicboardbd.org) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সংখ্যা, নিবন্ধিত চিকিৎসকদের ছবিসহ তথ্য রেজিষ্ট্রেশন নম্বর সহ এখনও কোন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়নি এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ওয়েবসাইট বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের মত সরকারি নয়, যা লজ্জাজনক। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত চিকিৎসকদের তথ্য না থাকায় মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ অনেক সময় হয়রানি শিকার হয়ে আসছেন। নিবন্ধিত চিকিৎসকদের তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে থাকলে কম্পিউটার, ট্যাব, ল্যাবটব, সাধারণ যে কোন এনড্রোয়েট মোবাইল হতে পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস/বিএইচএমএস ডিগ্রিধারী নিবন্ধিত চিকিৎসক শনাক্ত করা যায়, তেমনি ভুয়া চিকিৎসক খুব সহজে শনাক্ত করা যায়। রোগীরা প্রতারিত হতে রক্ষা পেত ও মাঠ পর্যায়ে ডিএইচএমএস/বিএইচএমএস ডিগ্রিধারী পাসকৃত সঠিক নিবন্ধিত চিকিৎসকগণকে চিহ্নিত করাসহ সামাজিক মর্যাদা সাধারণ জনগণের নিকট, রোগীদের নিকট মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নিকট, পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের নিকট অনেকাংশে বৃদ্ধি পেত। চিকিৎসকদের পাসের সনদপত্র, চিকিৎসক পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র সহ অন্যান্য খাত হতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড তথা সরকারের লাখ-লাখ তথা কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকলেও সার্বিকভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ বোর্ড হতে কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর নিজেদের ওয়েবসাইটে ডিএইচএমএস/বিএইচএমএস পাস হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সংখ্যা, নিবন্ধিত চিকিৎসকদের ছবিসহ তথ্য রেজিষ্ট্রেশন নম্বর সমূহ অন্তর্ভুক্ত করলে সব হোমিওপ্যাথি অবমূল্যায়নকারী ও ভুয়া চিকিৎসকদের কার্যকলাপ অনেকাংশে বন্ধ হবে। মাঠ প্রশাসন অভিযানে ভুয়া চিকিৎসকদের চিহ্নিত করতে পারবে। সঠিক ডিএইচএমএস/বিএইচএমএস পাসকৃত ডিগ্রিধারী নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণের মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। অবমূল্যায়নকারী ও ভুয়া চিকিৎসকদের দাপটে সঠিক হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস/বিএইচএমএস পাসকৃত ডিগ্রিধারী নিবন্ধিত চিকিৎসকগণের মর্যাদা অনেকাংশে ক্ষুন্ন হচ্ছে ও কোণঠাসা অবস্থা বিরাজ করছে। পেশার অবমূল্যায়নকারী ও ভুয়া চিকিৎসকদের চিহ্নিত করা, হোমিওপ্যাথির মর্যাদা রক্ষায় দায়ীদের সনদপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন বাতিল, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকার বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) আইনটি দ্রুত যথাযথভাবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন ও পাস করা এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (বি.এইচ.এম.সি) গঠন করা অবিলম্বে দরকার।
নিবেদক
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি নেতা, কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা, কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংবাদিক) বাসভবন : “ডাক্তার বাড়ী” জগন্নাথ পাড়া, শেরপুর, বগুড়া-৫৮৪০, বাংলাদেশ।
মোবাইল নং- ০১৭১৪ ৪৬৩১৩৮ তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
উক্ত চিঠি ডিজিটাল সিস্টেম : ই-মেইলে (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ) ও ঐতিহ্যবাহী/এনালগ সিস্টেম : সরকারি ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি ডাক (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ) যোগে পাঠানো হবে বলে জানায়।