দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্রে রোগীলিপির ভূমিকা

 প্রথম ব্যবস্থাপত্র করার পর রোগীর লক্ষণগুলোর ভিতরে যে সব পরিবর্তন পাওয়া যায়, উহার অবস্থাোদো অনুসারে অবশিষ্ট লক্ষণসমষ্টি সাদৃশ্যে একটি ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। 

কিন্তু এই লক্ষণগুলোর সাে যদি একাধিক ঔষধের আংশিক সাদৃশ্য থাকে, তবে রোগীর লক্ষণসমষ্টি ও অসুস্থতার কারণের প্রাধান্য অনুসারে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমষ্টির সাথে যে ঔষধের লক্ষণের বেশি সাদৃশ আছে, তা প্রয়োগ করতে হবে।

অথবা ঐ লক্ষণসমষ্টি যদি প্রথম ব্যবস্থাপত্রের সময় ব্যবহারিত ঔষধের লক্ষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়, তবে ঐ ঔষধকেই উচ্চতর শক্তি ও পরিবর্তিত সুখমাত্রার প্রয়োগ করতে হবে। 

এভাবে অবস্থা বিশেষে ঔষধের শক্তি ও মাত্রার পরিবর্তন ঘটিয়ে ও লক্ষণ সাদৃশ্যে এক সময় একটা করে ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীকে সামগ্রীকভাবে আরোগ্য করতে হবে। রোগীকে প্রথম ব্যবস্থাপত্র করার পর এইভাবে দ্বিতীয় বা পরবর্তী সমৱে ঔষধের শক্তি ও মাত্রার ভিতর পরিবর্তন করে প্রয়োগ করা বা পরবর্তী উপযোগী ঔষধ প্রয়োগ করাকে দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র (Second Prescription) বলে ।

Next Post Previous Post