বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে পার্থক্য
![]() |
অপরদিকে দর্শন ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা ছাড়াও অতীন্দ্রিয় জগৎ সম্পর্কে আলোচনা করে । দর্শন সত্য অনুসন্ধান এবং ব্যাখ্যা করে ।
বিজ্ঞান ও দর্শনের মধ্যে পার্থক্য :
বিজ্ঞান :-
১। যে কোন ধারণাকে বিজ্ঞান সত্য হিসাবে গ্রহণ করিয়া গবেষণা শুরু করে
২। বিজ্ঞান বস্তুর বাহ্যিক দিকের উপর গবেষণা করে।
৩। বিজ্ঞান কোনও সূত্র বা বিষয় বর্ণনা করে।
৪। বিজ্ঞান ইন্দ্ৰিয়গত অভিজ্ঞতার বাহিরে যায় না বলিয়া অতীন্দ্রিয় কোন সত্বা আছে বলিয়া বিশ্বাস করে না।
৫। বিজ্ঞান পৃথক পৃথক বস্তু লইয়
গবেষণা করে।
৬। বিজ্ঞান অনেক জটিল বিষয় সম্বে এখনও সচেতন নয়।
৭। বিজ্ঞান দর্শনের উপাত্তের সরবরাহকারী।
৮। বিজ্ঞানের গবেষণা শুধু আরোহ মূলক।
৯। বিজ্ঞান স্বতসিদ্ধ নিয়মভিত্তিক। ১০। বিজ্ঞান নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করিতে পারে না।
১১। বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত অমূর্ত।
১২। বিজ্ঞান শুধু ঘটনার ব্যাখ্যা দান করে।
১৩। পদার্থ, শক্তি, স্থান, কাল প্রভৃতির অস্তিত্ব বিজ্ঞান ধরিয়া নেয় বলিয়া বিজ্ঞান কতিপয় ধারণা ও অনুমানের উপর নির্ভরশীল।
১৪। প্রত্যেক বিজ্ঞান দর্শন হিসাবে শুরু হয়, কলা হিসাবে শেষ হয়। বিজ্ঞান হল দখলকৃত ভূমি ।
দর্শন:-
১। দর্শন বিজ্ঞানের দাবীকৃত বিষয় সম্পর্কীয় চরিত্রাবলী আনুমানিকভাবে প্রদর্শন করে ।
২। দর্শন বস্তুর বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীক উভয়দিকের সত্যতা নির্ণয়ে নিয়োজিত ।
৩। দর্শন কোনও সূত্র বা বিষয় ব্যাখ্যা করে ।
৪। দর্শন চিন্তা ও কল্পনার সূক্ষ্ম বিচারের আলোকে অতীন্দ্রীয় জগতের অন্ধকারে সৃষ্টি তত্ত্বের উৎস সন্ধান |
৫। দর্শন সমগ্র জগৎকে অথগুভাবে তলাইয়া দেখে।
৬। দর্শন অনেক জটিল ও শত সমস্যা নিয়া আলোচনা করে।
৭। দর্শন বিভিন্ন বিজ্ঞানের সংযোগ সাধন করে।
৮। দর্শনের চিন্তাধারা আরোহ ও অবরোহ উভয়ই ।
৯। দর্শনের কোন স্বতসিদ্ধ নিয়ম নাই ।
১০। দর্শনের কোন নির্দিষ্ট সীমা নাই ।
১১। দর্শনের সিদ্ধান্ত মূর্ত ।
১২। দর্শন শুধু ঘটনার ব্যাখ্যা দান করে না, মূল্যও বিচার করে।
১৩। দর্শন কোন কিছুরই অস্তিত্ব সন্দেহাতীতভাবে ধরে না। বিজ্ঞানের ধারণার কার্যকারিতা সম্বন্ধে তদন্ত চালায়।
১৪। দর্শন আনুমানিক ব্যাখ্যা, ইহা সত্য উদ্ঘাটনের প্রথম দ্বার।