সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা

 অনেকেই বলেন, ‘সকালই বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে।’ তাই সুন্দর একটি সকালের শুরু, দারুণ একটি দিন উপহার দিতে পারে। নিয়মিত সতেজভাবে সকাল শুরুর অভ্যাস করতে পারলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে শুরু করবেন দারুণ একটি সকাল। অন্তর্জাল ঘেঁটে ও পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলোর সঙ্গে কথা বলে এখানে থাকছে তেমন কিছু কার্যকর পরামর্শ।

ভালো একটি সকাল শুরুর প্রথম শর্ত হলো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা। এর মানে ভোর ৫টায় আপনাকে উঠতে হবে এমন না। তবে সর্বোচ্চ ৭টা–সাড়ে ৭টার পরে আর ঘুমানো ঠিক নয়।

ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। পাশাপাশি শরীরও সতেজ থাকবে।

৮-৯টার মধ্যেই সকালের নাশতা সেরে নেওয়া উচিত। যদি কোনো দিন অফিসে যাওয়ার তাড়াহুড়ার কারণে সকালের নাশতা খেতে না পারেন, তাহলে টিফিন বক্সে নাশতা নিন। মনে রাখতে হবে, সকালে না খেয়ে থাকা একদমই ঠিক নয়। সকালে পেট খালি থাকলে গ্যাস্ট্রিক, আলসারসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া খালি পেটে থাকলে কাজে মন বসে না। সারা দিনই একধরনের ঝিমুনি ভাব থাকে শরীরে।

সকালের নাশতায় কোনো ভাজা-পোড়া খাবার রাখা যাবে না। সকালের খাদ্যতালিকায় রুটি, পাউরুটি-মাখন, ডিম, চিড়া ইত্যাদি খাবার রাখতে পারেন। এ ছাড়া দুধের সঙ্গে মিলিয়ে কর্নফ্লেকস, ওটস ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে। খেতে পারেন ফলমূলও।

সকালে হালকা ব্যায়াম থেকে শুরু করে হাঁটা কিংবা দৌড়ানো বেশ ভালো অভ্যাস। হাঁটার জন্য আশপাশের পার্কে যেতে পারেন। তবে বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে বাড়ির ছাদ বা বসার ঘর হতে পারে ব্যায়াম কিংবা হাঁটার জন্য দারুণ জায়গা। চাইলে ট্রেডমিল বা বৈদ্যুতিক হাঁটার যন্ত্র কিনে ঘরের মধ্যেও হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।

ব্যায়াম করার সময় হেডফোন কানে লাগিয়ে শুনতে পারেন পছন্দের গানগুলো। এতে শরীরচর্চার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি আসবে।

যাঁদের ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে, তাঁরা ব্যায়াম শেষে নাশতা করবেন। তবে ব্যায়াম কিংবা হাঁটতে যাওয়ার আগে হালকা কোনো খাবার, যেমন বিস্কুট, মুড়ি কিংবা চিড়া খেয়ে নিতে পারেন।

ঝরঝরে একটি সকাল শুরুর জন্য নাশতার পর এক কাপ চা পান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনার পছন্দ অনুযায়ী দুধ চা, রং চা কিংবা হালের গ্রিন টি থেকে যেকোনো চা বেছে নিতে পারেন। তবে যাঁদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি রয়েছে, তাঁদের নাশতার ঘণ্টাখানেক পর চা খাওয়া উচিত।

সর্বোপরি সকাল হলো সারা দিনের প্রস্তুতি। তাই সময়মতো সকালে উঠে পুরো দিনের কর্মতালিকাটি সাজিয়ে নিলে কার্যকর একটি দিন কাটানো সম্ভব।

Next Post Previous Post