জুনিয়র হোমিওপ্যাথদের প্রতি সিনিয়র চিকিৎসকের উপদেশ
জুনিয়র চিকিৎসককে সিনিয়র চিকিৎসকের উপদেশ-
১. চেম্বারে স্থান নির্ধারণের সময় সাধ্যমত জনবহুল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
২. চেম্বারটি সুন্দরভাবে পরিপাটি করে সাজিয়ে নিবেন। লোকজন দেখলে যেন বুঝতে পারে হোমিওপ্যাথিক চেম্বার।
৩. চেম্বারে ওষুধের আলমারির সাথে বইয়ের জন্য একটি ভালো আলমিরা থাকবে। তাতে প্রয়োজনীয় সকল বই থাকবে।
৪. চেম্বারটি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। প্রতিদিন নিজে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে নিবেন।
৫. চেম্বারে ওষুধপত্র সব সময় ভালো মানের রাখার চেষ্টা করবেন।
৬. রোগী দেখার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেম্বারে পৌছবেন।
৭. খুব প্রয়োজন ছাড়া কখনো চেম্বার বাদ দিবেন না। চেষ্টা করবেন যাতে রোগীদের নিয়োমিত সেবা দিতে পারেন।
৮. সব সময় পরিপাটি হয়ে চেম্বারে বসবেন। আপনার পকেটের কলম থেকে জুতো পর্যন্ত প্রত্যেকটি যেন শালীন হয়।
৯. চেম্বারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সব সময সচল রাখার চেষ্টা করবেন।
১০. রোগীদের সাথে সবসময় আপনি বলে সম্বোধন করবেন। পুরুষ চিকিৎসকরা কখনো মহিলা রোগীকে তুমি বলে সম্বোধন করবেন না, বয়সে ছোট হলেও। এমনকি ছোট বাচ্চাদেরকেও তুমি বলা যাবে না।
১১. সব সময় চেষ্টা করবেন রোগীদের কাছ থেকে কম টাকা রাখতে। যেসকল রোগীরা অক্ষম সম্ভব হলে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবেন।
১২. কখনো কখনো অনেক রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে ভুল করে ফেলে। তাদের এই ভুলের জন্য তাদের সঙ্গে রাগ করা যাবে না।
১৩. অনেক রোগীর ঠিকভাবে ওষুধ সেবন করে না, তাই বলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. কোন কারণে বা রোগী আরোগ্য না হলে অনেক সময় রোগীরা রেগে যায়, তখন তাদেরকে শান্তভাবে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে সেই রোগীকে তার ভালো চিকিৎসার জন্য কোন সিনিয়র চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
১৫. চেম্বারে রোগীর চাপ বেশি হলে তাড়াহুড়ো করা যাবে না। শান্তভাবে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে একএক করে সকলের চিকিৎসা দেবেন সময় নিয়ে।
১৬. চেম্বারে নতুন ডাক্তার এলে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, সাধ্যমত আপ্যায়ন করা। সুযোগ হলে তাদরে সাথে পড়া শোনা নিযে কথা বলা।
১৭. সিনিয়র ডাক্তার পরিচিত বা অপরিচিত যেই আসুক না কেন তার সাথে ভালো ব্যবহার করা, প্রয়োজনে চা নাস্তার ব্যবস্থা করা।
১৭. কোর ডাক্তার ওষুধরে জন্য পাঠালে আপনার কাছে থাকা সত্ত্বে ফিরিযে দেবেন না। তিনি আপনার পরিচিত বা অপরিচিত যাই হউক না কেন।
১৮. ডাক্তার কিংবা তার পরিবারের কেহ চিকিততততসা নিতে এলে তাদের কাছ থেকর যত খরচ কম নেয়া যায়। সম্ভব হলে বিনে খরচে চিকিৎসা দেযার চষ্টো করবেন।
১৯. পান বা কোন নেশার অভ্যাস থাকলে চেম্বার সময় তা সর্ম্পূণ পরিহার করতে হবে। সম্ভব হলে স্খায়ীভাবে তা ত্যাগ করবনেন।
২০. চেম্বারে বাজে কোন আড্ডা বা গল্প করা যাবে না।
২১. চেম্বারের ভাড়া সময় মতো পরিশোধ করে দেবেন।
২১. চেম্বারের কাছের কোন দোকান থেকে বাকি কেনা কাটা করবনে না।
২২. চেম্বারে বসে রোগীর সম্মুখে বোতল থেকে সরাসরি পানি পান করবেন না, এমন কি রোগীর সামনে খাওয়া-দাওয়া না করাই ভালো।
২৪. নতুন চিকিৎসক নিজে চেম্বার করার জন্য কোন রকম সহযোগতিা চাইলে সাধ্যমত সহায়তা করবেন।
২৫. রোগীর সম্মুখে ওষুধ তৈরি করবেন না।
২৬. কোন চিকিৎসক ওষুধের জন্য পাঠালে, সে ওষুধটির পরিবর্তে অন্য ওষুধ দেয়া তো দূরের কখা, সে বিষয়ে কোন মন্তব্যও করা যাবে না।
২৭. চেম্বারে কখনও চেয়ারে উপর পা উঠিয়ে বসবেন না।
২৮. যেভাবেই হউক রোগীর সম্পূর্ণ রোগীলিপি করেই ওষুধ নির্বাচন করবেন।
২৯. রোগীর সামনে বসে বেশি সময় ধরে ফোনে আলাপ করবেন না।
৩০. চেম্বারে সব সময় হাসি খুশি থাকবেন, যে কোন কারনে উচ্চ স্বরে হাসবেন না। প্রয়োজনে মুচকি হাসি হাসতে পারেন।
নোট- ডা. ফারুকী স্যার এর ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।
ডাক্তার ফারুকী স্যারের পোস্ট নিন্মে হুবহু তুলে ধরা হলো।