শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক যেসব খাবার


 অনেকে শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। শিশুর প্রথম বছরগুলোতে উচ্চতার সঙ্গে জিনগত ও স্বাস্থ্যকর পুষ্টির সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু উচ্চতা বৃদ্ধি করা জরুরি। শিশুর উচ্চতা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়বে এবং এটি অধিকাংশই নির্ভর করে খাদ্য, ডায়েট এবং জীবনযাপনের ওপর।

এখানে কিছু খাবার উল্লেখ করা হলো যা প্রাকৃতিকভাবে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

বাড়ন্ত বয়সেই শিশুর উচ্চতা সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পুষ্টি উপাদান-যেমন ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস স্বাস্থ্যসম্মত হাড়, গাঁট এবং টিস্যু গঠনে সহায়তা করে।

টক দই: এতে ক্যালসিয়াম, ফ্যাট এবং প্রোটিনে ভরপুর। যা হাড়, পেশি গঠনে সহায়তা করে। প্রারম্ভিক বছরগুলোতে শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এগুলো।

বিভিন্ন প্রোবায়োটিক গ্রহণ করলে উচ্চতা বজায় রাখার পাশাপাশি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করতে পারে।

মটরশুঁটি: উচ্চতা বৃদ্ধি, পেশি শক্তি, জ্ঞানভিত্তিক শক্তির পাশাপাশি বিপাক বৃদ্ধির জন্য দুর্দান্ত এই খাবার।

প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন ‘বি’র উপস্থিতির কারণে যা অনাক্রম্যতা বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ এবং টিস্যু পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে।

তা ছাড়া, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মটরশুঁটি যোগ করলে ফাইবার, তামা, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংকের মতো পুষ্টির উপস্থিতির কারণে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

কাজু বাদাম: সকালে একমুঠো ভেজানো বাদাম খেলে সন্তানের জ্ঞানীয় শক্তির উন্নতির পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে সারা জীবনের জন্য।

মুরগি: প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, নিয়াসিন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি৬ এর একটি চমৎকার উৎস। এই পুষ্টিগুলো হাড় মজবুত, কোষ মেরামত করতে এবং শিশুদের উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।

এছাড়াও ভিটামিন বি১২ এর উপস্থিতি, যা মূলত একটি জলে দ্রবণীয় ভিটামিন উচ্চতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডিম: প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিতে ভরপুর। স্বাস্থ্যকর এই খাবার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, ডিম ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং উচ্চতা বাড়াতেও সহায়তা করে। 

Next Post Previous Post