সমুদ্র পথে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার ব্যাখ্যা দিলো বিসিবি
প্রশ্ন: উইন্ডিজ বোর্ডের ফেরিতে ডমিনিকা যাওয়ার প্রস্তাবটা বিসিবি কীভাবে মেনে নিল?
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন: আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিন্তার কথা জানাই তাদেরকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইওর সঙ্গে কথা বলি। এবং পরবর্তীতে ওরা যেটা বলে যে, দুই দলই একই সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভ্রমণ করবে। এবং শুধু দল নয়, সঙ্গে টিভি ক্রু, ধারাভাষ্যকার সবাই এই ব্যবস্থায় যাবে। তখন আমাদের বলার বিষয়টা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
একই সঙ্গে ওদের যে অবস্থাটা ছিল বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোভিডের কারণে ওদের অনেক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ওদের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ছোট কিছু ফ্লাইট চলত। এগুলো বাদ দিলে একটা দল যাওয়া, দলের সঙ্গে অনেক কিছু থাকে, বাস্তবতায় সম্ভব ছিল না। চার্টার্ড করাও সম্ভব ছিল না। যখন ওরা বলে যে দেখ, আমাদের দলও যাচ্ছে। ওদের দল যখন যাচ্ছে, তখন আমাদের বলার মধ্যে সীমাবদ্ধতা চলে আসে।
একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, যখন একটা দল কোনো দেশে চলে যায়, তখন সমস্ত দায়িত্ব কিন্তু ওই বোর্ডেরই হয়। আমাদের দেশেও একই। ওরা যে ব্যবস্থার কথা বলবে স্থানীয় বিষয়গুলোতে, আমাদের তো ওদের ওপরই নির্ভর করতে হয় এবং এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে আসলে আমাদের ওপরই নির্ভর করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করাটা কঠিন ছিল।
প্রশ্ন: দল ডমিনিকা যাওয়ার পর আপনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না?
নিজামউদ্দিন উদ্দিন চৌধুরী সুজন: আমার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। আমাকে যখন জানানো হয় যে, ওরা একটা খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে গেছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইওর সাথে কথা বলি। আমার জানা মতে, সে আমাদের ম্যানেজার এবং দলের ২-১ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদেরকে আশ্বস্ত করার জন্য। এর বাইরে হচ্ছে ও ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে আমাকে সার্বক্ষণিক আপডেট দিয়েছে, শেষ দল ডমিনিকা পৌঁছানোর পরও আমাকে একটা ভিডিও পাঠিয়েছে যে, দল ঠিক মতো পৌঁছে গেছে। তারা এটা করেছে, যাতে আমাদের দলটা ঠিক থাকে।