মুখের ঘা সারাতে কি করবেন
মুখের ভিতর ঘা হয়েছে, অনেকেই সেটাকে সাধারণ ঘা ভেবে এড়িয়ে যান। কারণ অনেকেই মনে করেন এটা কয়েকদিনের মধ্যেই কমে যাবে। যেমন খুব জোরে কামড় খেলে কিংবা ঠান্ডা লাগলে সেখান থেকেও মুখের ঘা বা আলসার হয়। মুখের ভিতর আলসারের সমস্যা থেকে শরীরে বাঁধতে পারে জটিল রোগ। আলসার হলে খেতে, কথা বলতে প্রচন্ড অসুবিধা হয় আলসার আবার বড় হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হয়, তা না হলে সমস্যা, তবে এই আলসার থেকে মুক্তি পেতে সবসময়েই ওষুধ নয়। আলসার হলে বেকিং সোডা ব্যবহারে জ্বালাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাফ কাপ পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিয়ে কুলকুচি করলে আলসার কমে যায়। নারকেল তেলে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি উপাদান জ্বালাভাব দূর করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে মুখের আলসার সারাতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়। এক-দু ফোঁটা নারকেল তেল লাগিয়ে রাখলে তা অনেকটাই কমে যায়।
এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে মিছরির গুঁড়া মিশিয়ে গাঢ় পেস্ট তৈরি করে ঘায়ের উপর লাগিয়ে নিন, আলসার কমাতে উপকার পাবেন। মধু অনেক রোগেরই মহৌষধ। মধুর মধ্যে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে যা জ্বালাভাব ও লালচে ভাব কমায়, আলসারের জন্য ভীষণ কার্যকরী। মুখের যেই জায়গায় আলসার হয়েছে সেখানে নিয়ম করে কয়েক ফোঁটা মধু লাগালে মুখের আলসার থেকে রক্ষা করা যায়। লবণ পানি আলসার সারানোর জন্য অন্যতম ঘরোয়া পদ্ধতি। হালকা গরম পানির মধ্যে সামান্য নুন দিয়ে গার্গল করতে আলসার শুকিয়ে যায়। অল্পদামী ট্যাবলেট রিবোফ্লাভিন বা বিভোসন মুখের ঘা সারাতে কার্যকরী। এটটাতে থাকে ভিটামিন বি। চুষে খেতে হয় এমনভাবে যে ঘায়ে যেন ওষুধটা লাগে। বেশি সমস্যা হলে মাইকোরাল জেল আঙ্গুলের সাহায্যে কয়েকবার লাগালে উপকার মেলে। অবস্থা জটিল হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।